পশ্চিমা শক্তি ভেবেছিল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞ ও বিধি-নিষেধের কারণে পুতিনের জনপ্রিয়তা কমে যাবে এবং মানুষজন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটেনি বরং পুতিনের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে গিয়েছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পরপরই পুতিনের জনসভায় বিশাল সংখ্যক মানুষের আগমন এটাই প্রমাণ করে যে তিনি এখনো অনেক জনপ্রিয়। পুতিন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকলেও তারা জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি।
এর বেশ কিছু যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তিনি একদম শুরুতে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন রাশের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। নিজের মেধা এবং বুদ্ধির জোরে তিনি আরশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক বড় ধরনের সংস্কার করেন।
পুতিনের নেওয়া পদক্ষেপের ফলেই রাশিয়া এখন বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে আবার আবির্ভূত হয়েছে। রাশিয়ায় যারা বিত্তশালী ও ধনকুবের তারা পুতিনকে সবসময় সমর্থন দেয়। পুতিনও তাদেরকে নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
সাধারণ মানুষ এটা বিশ্বাস করে যে পুতিনের সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে রাশিয়া এখন অনেক দূরে সামনে এগোতে পেরেছে।
রাশিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি ছিল এবং প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছিল। এখন এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। এত দূরের যাত্রাপথে ভ্লাদিমির পুতিনকে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে।
কিন্তু তিনি কোন কিছু গ্রাহ্য করেননি ও নিজের মতো করে দেশ পরিচালনা করেছেন। পুতিন রাশিয়ার জনগণকে এটা বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছেন যে রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে ছিল এবং ইউক্রেনকে আক্রমণ করা ব্যতীত আর কোন দ্বিতীয় অপশন ছিল না।
রাশিয়ার জনগণ যুদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এই যুদ্ধে পুতিনের নীতিকে সমর্থন করছে। রাশিয়ার মিডিয়া পুতিনের প্রতি অনুগত এবং এই মিডিয়া জনগণ এবং পুতিনের মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করছে।
রাশিয়ার জনগণ বিশ্বাস করে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে চায়। তারা আমেরিকা ও ইউরোপের উপর সত্যিই ক্ষুব্ধ এবং তারা বিশ্বাস করেন রাশিয়াকে তিনিই পশ্চিমাদের ভয়াল থাবা হতে রক্ষা করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।