দুটি তারার মৃত কোর ১৩০ মিলিয়ন বছর আগে কিছুটা দূরে একটি গ্যালাক্সিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। এ সংঘর্ষ এতটাই চরম ছিল যে, মহাকর্ষ তরঙ্গের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। ওই সময় মহাকর্ষ তরঙ্গ এবং নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ থেকে আসা আলো মহাবিশ্ব জুড়ে একসাথে ভ্রমণ করেছিল।
তারা ১৭ আগস্ট পূর্ব দিকে ৬:৪১ এ একযোগে পৃথিবীতে পৌঁছেছিল। এই ইভেন্টটি “multimessenger astronomy” এর ভোর হিসেবে শিরোনাম করা হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ মুহূর্তের জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অপেক্ষা করছিলেন। আমরা সবাই জানি যে আলো একটি গতিসীমা মেনে চলে।
এই গতিসীমা হচ্ছে প্রায় এক লাাখ ছিয়াশি হাজার মাইল প্রতি সেকেন্ড। কোন কিছুই সবসময় দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, গ্রাভিটি একই গতি বজায় রেখে ভ্রমণ করতে পারে। নিউটন ভেবেছিলেন সময় সবসময় অভিন্ন গতিতে সামনে এগিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে আইনস্টাইন দেখিয়েছিলেন যে সময় আপেক্ষিক। যেকোনো তথ্যের একটি সীমিত গতি রয়েছে। এখন এটি আলো বহনকারী ফোটন হোক অথবা মহাকর্ষ।
উইসকনসিন-মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ জোলিয়ান ক্রাইটন বলেন যে, আপেক্ষতার ক্ষেত্রে তথ্যের গতির বিষয় রয়েছে। তার মানে হচ্ছে যে, সর্বাধিক গতিতে আপনি একটি তথ্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে পারেন সেটাকে বোঝানো হচ্ছে।
এটা সত্য যে, মহাকর্ষ তরঙ্গের গতি ইলেকট্র ম্যাগনেটিক তরঙ্গের গতির সমান কারণ তারা উভয়-ই তথ্যের গতিতে ভ্রমন করতে পারে। উইসকনসিন-মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ জোলিয়ান ক্রাইটন একজন সাধারণ আপেক্ষিকতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও LIGO দলের একজন সদস্য যিনি প্রথম দিকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।