জীবনে একটা সময় পার হওয়ার পর মানু্ষ পেছনে ফিরে তাকাতে চায়। কী হারাতে হয়েছে আর কী অর্জন করা সম্ভব হয়েছে এসব নিয়ে ভাবতে হয়। এখানে বন্ধুত্বের স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্থা প্রক্টর নামক এক ব্যক্তি ইউর ট্যাঙ্গো প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে দারুন কথা লিখেছেন।
সামান্থার তেমন কোনো অনুশোচনা নেই। যদি অনুশোচনা থাকে তাহলে জীবন থেকে কিছু বন্ধুত্ব হারিয়ে যাওয়া নিয়ে হতে পারে। কলেজের শুরুতে তিনি অনেক ভালো বন্ধু পেয়েছিলেন।
তবে কলেজ থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি তাদের সাথে তেমন সম্পর্ক রক্ষা করে চলেননি। ফলে সে বন্ধুত্ব টিকে থাকেনি। সামান্থা বিশ্বাস করেন যে, বন্ধুত্ব শুর হওয়া বা শেষ হওয়ার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ থাকে। কোন কারণ ছাড়া এসব ঘটনা ঘটে না।
বাস্তবতা হচ্ছে কারো বন্ধুত্ব আজীবন টিকে থাকে না। জীবনে এরকম অনেক বন্ধু রয়েছে যাদের আমরা অল্প সময়ের জন্য পাই কিন্তু তাদের প্রভাব থাকে বেশি। বন্ধুত্বের প্রতি এবং সেসব বন্ধুদের প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন যারা আপনাকে সহযোগিতা করেছে।
জীবন চলার পথে বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার সুযোগ আছে। এ সকল গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু আমাদের জীবনে আজীবন থাকবে না। সকল বন্ধুত্বের শেষ পরিণতি রয়েছে।
সেসব বন্ধুত্ব দেখে নোট থাকলে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ থাকতে পারে। কেননা আমাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের পেছনে তাদের অবদান রয়েছে।
অনেক মানুষ আমাদের সাথে ভালো আচরণ করে না এবং তাদের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে আপনি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে চাইবে না। তবে জীবন চলার পথে এ সকল অভিজ্ঞতার গুরুত্ব রয়েছে।
সকল বন্ধুত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কেননা তাদের কাছ থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাদের স্থান হওয়া উচিত আপনার হৃদয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।