জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র) খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আতিয়ার রহমান ও মনিরা খাতুন নামে দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইমন নামে এক শিক্ষার্থীকে জেরা করেছেন হল সুপার ও পুলিশ। ইমন টঙ্গী সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ কেন্দ্রে একটি খাতা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাতে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি তদন্ত করতে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অভিভাবক সদস্য এমএ সাত্তার মোল্লাকে প্রধান করে শিক্ষক আবু জাফর ও কামাল হোসেনকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রসায়ন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ওই হলে থাকা শিক্ষার্থীরা খাতা জমা দিয়ে হল ত্যাগ করে। পরে খাতা গণনায় একটি খাতা না পাওয়ায় ইমন নামের ওই পরীক্ষার্থীকে গাজীপুর মহানগরীর গাছা বগারটেক এলাকার বাসা থেকে ফোন করে ডেকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ওই শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে তার কলেজের শিক্ষকরা কেন্দ্রে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার মোট ৭৮০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা শেষে ৭৭৯টি খাতা পাওয়া যায়। পরে ওই পরীক্ষার্থী ও তার বাবা মাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরীক্ষায় উপস্থিত সিটে তার স্বাক্ষর রয়েছে। ঘটনার পর শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার্থী ইমন বলেন, আমি পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে যাই। সহপাঠীদের দিয়ে আমাকে খবর পাঠিয়ে কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
টঙ্গী সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার। রাতে পাইলট স্কুলে গিয়ে দেখি আমাদের পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে পুলিশ ডেকে ইমনকে পুলিশে তুলে দিতে চেয়েছিলেন হল সুপার। রাতে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। হল সুপার শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই দুই শিক্ষককে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।
এ বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও মনিরা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হাসিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।