আল্লাহর বিস্ময়কর এক সৃষ্টি মানুষের আঙুলের ছাপ। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এই সত্য ১৪ শ বছর আগে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বর্ণনা করেছেন। কোনো ব্যক্তির আঙুলের ছাপকে তার পুরো ডাটা ব্যাংক বলা হয়। যেখানে লুকিয়ে থাকে ব্যক্তির পুরো রহস্য।
পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাবে। এমনকি পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনো মানুষের আঙুলের ছাপই এক রকম নয়। ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট প্রথম এই তথ্য আবিষ্কার করেন।
তখন থেকেই অপরাধীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার আগে আজ থেকে ১৪শ বছর পূর্বে আল্লাহ্ তায়ালা আঙুলের রেখাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে পবিত্র কুরআনের সূরা কিয়ামাহ-তে বলেছেন, মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড়গোড় একত্র করতে পারব না?
অবশ্যই আমি তার আঙুলের ডগা পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। একজন মায়ের গর্ভে যে পরিবেশে ভ্রূণের বিকাশ হয়, তা আঙুলের ছাপ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। আর যেহেতু প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই পরিবেশ ভিন্ন, তাই প্রত্যেকের আঙুলের ছাপও ভিন্ন। একজন ব্যক্তিকে তার জেনোটাইপ ও ফেনোটাইপ বৈশিষ্ট্য দিয়ে বিচার করা যায়।
প্রথমটি হলো তার ডিএনএ, অর্থাৎ মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া জিনসমষ্টি। আর ডিএনএ পরিবেশের সান্নিধ্যে আসার পর ব্যক্তি যেসব বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, তা হলো ফেনোটাইপ। আপস মায়ের পেটে ভ্রূণের ফেনোটাইপ বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে বাধ্য। কারণ, কোনো দুই ভ্রূণ হুবহু একই অবস্থানে থাকে না। এমনকি অভিন্ন যমজ, যাদের জেনোটাইপ অভিন্ন, তাদেরও ফেনোটাইপ ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া মায়ের পুষ্টি, রক্তচাপ প্রভৃতিও আঙুলের ছাপের পার্থক্য সৃষ্টি করে। এ জন্যই কোনো দুই ব্যক্তির আঙুলের ছাপ হুবহু এক হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।