অন্যরকম খবর ডেস্ক : শয়ে শয়ে মুরগির মাথা কেটে জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়ার মত নৃশংসা ঘটনা কার্যত অপরাধ। কিন্তু এই অদ্ভুত ঘটনা ছিল সুইজারল্যান্ডের এক অভিনব এবং কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ। যা দেশটিকে রক্ষা করেছিল মারাত্মক বিপদ থেকে।
স্বাস্থ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এক পদক্ষেপ বাঁচিয়েছিল বহু মানুষের প্রাণ। ১৯৭০-এর দশকে সুইজারল্যান্ডে রেবিস রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। জানা যায় লাল শিয়াল থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছিল গোটা দেশে। রেবিস সাধারণত এমন একটি প্রাণঘাতী রোগ যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে। রেবিসের সংক্রমণ আটকানোর সবথেকে ভাল উপায় টিকাকরণ।
পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৪: এন্টিম্যাটার গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার
কিন্তু লাল শিয়ালকে টিকা দেওয়া তৎকালীন সরকারের কাছে ছিল বড়সড় চ্যালেঞ্জ। অথবা খুঁজে খুঁজে শিয়ালদের হত্যা করার মত নৃশংস পদ্ধতিও নিতে চায়নি সরকার। মোকাবিলার জন্য অবশেষে এক অভিনব সমাধান বের করে কর্তৃপক্ষ। শিয়ালদের টিকা দেওয়ার জন্য জঙ্গলের এলাকাগুলিতে মুরগির মাথা আকাশ থেকে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। মুরগির মাথাগুলি ব্যবহার করা হত মূলত শিয়ালদের আকৃষ্ট করার জন্য। মাথাগুলিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি দুর্বল রেবিস ভ্যাকসিন। এই মাথা খাওয়ার মাধ্যমে শিয়ালগুলির শরীরে প্রবেশ করানো হত ওই ভ্যাকসিন। ফলে, সরাসরি কারোর হস্তক্ষেপ ছাড়াই বৃহৎ সংখ্যায় শিয়ালদের টিকা দেওয়া হয় খুব সহজেই। সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসে রেবিসের সংক্রমণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।