লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভাত জনপ্রিয় খাদ্য। তবে ভাত ছাড়া বাঙালি খাবার অসম্পূর্ণই বলা চলে। চাল থেকে ভাত তৈরি হয় যা যেকোনো ধরণের ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। । আস্ত শস্যদানা, যেমন চাল থেকে ভাত তৈরি হয় যা যেকোন ধরণের ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বাদামী চাল একধরণের আস্ত শস্যদানা। বাদামী চাল প্রাকৃতিক এবং অপরিশোধিত। অনেক মানুষই সাদা চালের পরিবর্তে বাদামী চাল পছন্দ করেন। কেন বাদামী চাল সাদা চালের চেয়ে বেশি উপকারী তা জনে নিই চলুন।
১। ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে
হার্ভার্ড এর গবেষকগণ আবিষ্কার করেছেন যে, প্রতি সপ্তাহে ২ কাপ বাদামী চাল খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে। তারা জেনেছেন যে, দিনে ৫০ গ্রাম বাদামী চাল খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ১৬% কমে। যেখানে অন্য আস্ত খাদ্যশস্য যেমন- বার্লি এবং গম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৬% কমে।
২। উচ্চমাত্রার আঁশ থাকে
প্রাত্যহিক ফাইবার গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ১৪% সরবরাহ করতে পারে বাদামী চাল। কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে ফাইবার বা আঁশ। ফাইবার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের সাথে যুক্ত হয়ে এদেরকে কোলন এবং স্তনের কোষ থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এভাবেই এই অঞ্চলগুলোতে ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ করে বাদামী চাল। এছাড়াও ফাইবার কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
৩। ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়ামের ভালো উৎস
১ কাপ বাদামী চালে ম্যাঙ্গানিজের দৈনিক চাহিদার ৮৮% পূরণ হয়। ম্যাঙ্গানিজ হচ্ছে ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। ফ্যাটি এসিডের সংশ্লেষণেও প্রধান ভূমিকা পালন করে ম্যাঙ্গানিজ।
সেলেনিয়াম ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং ডিএনএ কে মেরামত করে। থাইরয়েড হরমোনের বিপাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ইমিউন সিস্টেমের কাজে সাহায্য করে সেলেনিয়াম। দৈনিক সেলেনিয়াম এর চাহিদার ২৭% প্রদান করতে পারে এক কাপ বাদামী চাল।
৪। ওজন বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে
হার্ভার্ড গবেষকদের করা গবেষণা অনুযায়ী বলা যায় যে, যে নারীরা বাদামী চালের মত আস্ত শস্যদানা গ্রহণ করেন তাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় থাকে।
৫। কোলেস্টেরল কমাতে পারে
বাদামী চালে যে তেল থাকে তা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বলে জানা গেছে। একইভাবে আস্ত শস্যদানার খাদ্যাভ্যাসের ফলে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের এর মাত্রা কমে।
এছাড়াও বাদামী চাল কার্ডিওভাস্কুলার উপকারিতা প্রদান করে, প্রদাহরোধী গুণ সম্পন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ, মেটাবলিক সিনড্রোম হওয়ার ঝুঁকি কমায়, শিশু অবস্থায় অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
দে’হব্য’বসা করে চালিয়েছেন পড়াশোনা, জিতেছেন সুন্দরীদের মুকুটও
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।