ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল মধুমিতা সরকারের। তারপর থেকে সিনেমা-ওয়েব সিরিজে সমানতালে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে পা রাখার পরই বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে।
তবে সেই বিয়ে ভেঙে যায় কয়েক বছরের মাথায়। তারপর থেকে একাধিক নায়কের সঙ্গে নাম জড়ালেও, নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করেন ‘পাখি’ চরিত্রে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এবার নিজের এই সিঙ্গেলহুডের কারণও খোলসা করলেন তিনি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন মধুমিতা। সেই ভিডিওর উপরে লেখা, ‘কেন যে আমি সিঙ্গেল, বুঝতেই পারি না’।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক নারীকে ঘিরে রয়েছে অনেক পুরুষ। তবে সেই নারীই নিজের আশেপাশে থাকা পুরুষদেরকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন। তাহলে কি জীবনে পুরুষদের এন্ট্রি আটকে রেখেছেন মধুমিতা? সে কারণেই ডিভোর্সের এত বছর পরেও সিঙ্গেল তিনি?
মধুমিতার প্রথম সিরিয়াল ‘সবিনয়ে নিবেদন’-এর নায়ক ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। আর সেই ধারাবাহিকের কাজ করতে গিয়েই প্রেমে পড়েন একে অপরের। সেখান থেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই জুটি। তখন অভিনেত্রীর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
২০১৫ সালে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ চলাকালীনই দুজনে করে নেন আইনি বিয়ে। তবে রূপকথার সফর শেষ হয় ২০১৯ সালে। পথ আলাদা হয় দুজনের। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এই জুটি।
এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে মধুমিতা বলেন, ‘যদি আমি তাড়াহুড়া করে তখন বিয়েটা না করতাম তবে আমি ক্যারিয়ারে আরও বেশি করে ফোকাস করতে পারতাম। তবুও বলবো, সৌরভের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নিয়ে আমার কোনও আফসোস নেই, আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি রয়েছে’।
এরপর অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গে সম্পর্কের খবর শোনা গিয়েছিল মধুমিতার। তবে তা গুঞ্জন বলেই উড়িয়েছিলেন তিনি।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এখন পুরোপুরি সিঙ্গেল। গত চার বছর ধরে আমার আগে-পিছে কিছু নেই। যদি আমি প্রেমে পড়তাম তাহলে খুব খুশি হয়ে সেটা প্রকাশ্যে আনতাম। লোকজন অনেক সময়ই প্রেমের কথা লুকিয়ে রাখে, আমি সেটায় বিশ্বাসী নই। যদি সত্যি আমার কাউকে পছন্দ হয় এবং আমি করো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই তাহলে অবশ্যই সেটা নিজের ফ্যান এবং শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।