কেন রোলস রয়েস ব্র্যান্ডকে অভিজাত হিসেবে গণ্য করা যায়?

রোলস রয়েস

রোলস রয়েস গাড়ির নান্দনিক নকশা, গাড়ির ভেতরের ইন্টেরিয়র, স্বয়ংক্রিয় চাকার মতো বহুবিধ বৈশিষ্ট্য এই ব্র্যান্ডকে বিশ্বজুড়ে আলাদা করে তুলেছে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে কোম্পানিটি আভিজাত্য ধরে রাখতে সবার কাছে গাড়ি বিক্রি করত না। বিক্রির ক্ষেত্রে নানা শর্ত দিত। এসব কারণেই রোলস রয়েস আভিজাত্যের তালিকায় নাম লেখায়।

রোলস রয়েস

রোলস রয়েসের বৈদ্যুতিক গাড়ি স্পেক্টার মাত্র ৪ দশমিক ৪ সেকেন্ডে ৬০ মাইল গতিতে চলতে পারে। এই গাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে—নিঃশব্দে চলার ক্ষমতা। আবার খুব ছোট জায়গাতেও খুব সহজে চালানো যায় গাড়িটি।

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমদানি না হলেও কূটনৈতিক ও শুল্কমুক্ত সুবিধায় দেশে আগেও রোলস রয়েস গাড়ি আমদানির রেকর্ড রয়েছে। এনবিআরের গত দুই দশকের (২০০৪–২৩) তথ্য বলছে, এ সময়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় দুটি রোলস রয়েস দেশে আনা হয়েছে। তার মধ্যে ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৬০০ সিসির নতুন একটি রোলস রয়েস এনেছিল দুবাই এভিয়েশন করপোরেশন। ২০২০ সালে ৬ হাজার ৭৪৯ সিসির আরেকটি রোলস রয়েস এনেছিল ঢাকার সৌদি দূতাবাস। এই দুটি গাড়ি এখন কোথায় আছে তা জানা যায়নি।

এ ছাড়া দুটি রোলস রয়েস জব্দের রেকর্ড রয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কাছে। উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিক মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ২০১৫ সালে একটি রোলস রয়েস গাড়ি আমদানি করেছিলেন। গাড়িটির বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অবশ্য শুল্ক–করই ছিল ২২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের রুপালি রঙের ৬ হাজার ৬০০ সিসির এই গাড়ি ঢাকার কমলাপুরের আইসিডি থেকে জব্দ করা হয়।

আর ২০২২ সালে চট্টগ্রামের ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত সুবিধায় আরেকটি রোলস রয়েস গাড়ি আমদানি করেছিল। তবে শুল্কায়নের আগে গাড়িটি ঢাকায় সরিয়ে নেওয়ায় তা জব্দ করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক বিচারাদেশে গাড়িটি খালাসে ২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা শুল্ক–কর পরিশোধের নির্দেশ দেয়।

জরিমানা করা হয় ৫৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গাড়ি খালাসে শুল্ক–কর, জরিমানাসহ ৮৫ কোটি টাকা দেওয়ার আদেশ দেয় কাস্টমস। এ নিয়ে মামলা চলছে।  দুটি গাড়ি এখনো কাস্টমস গোয়েন্দার হেফাজতে রয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে মোট ১২টি রোলস রয়েস গাড়ি আমদানির তথ্য রয়েছে।