অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, ২০০৭ বিশ্বকাপ হচ্ছে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সবথেকে বাজে আসর। ওই বিশ্বকাপ অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। বাজে আউটফিল্ড, স্টেডিয়ামে দর্শক না থাকা সহ অবকাঠামোগত সমস্যা সবকিছুই ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ভারত এবং পাকিস্তান বিদায় নিয়েছিল। ফলে এ বিশ্বকাপ তেমন জমজমাট হতে পারেনি। সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের মতো তারকা খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার কাছে হেরে গিয়েছিল।
অন্যদিকে ইনজামামুল হক, ইউনুস খানের মতো জনপ্রিয় খেলোয়াড় পাকিস্তানকে পরবর্তী রাউন্ডে উঠাতে পারেনি। আয়ারল্যান্ড এবং স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর কাছে হেরে বসে পাকিস্তান। এশিয়ার দর্শকদের জন্য ছিল তা হতাশা জনক।
এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলংকা এত ভালো খেলছিল যে তারাই ফাইনালে উঠবে তা আগে থেকে বোঝা যাচ্ছিল। আর পিচগুলো অনেক বেশি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিল। এর ফলে পেস বোলারদের জন্য কিছুই করার ছিল না।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর যখন খেলা চলে তখনো মাঠে তেমন দর্শক ছিল না। স্টেডিয়ামের দর্শক শূন্যতা অনেক সমালোচনা তৈরি করে। তাছাড়া স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হতো। এটা একটা কারণ হতে পারে।
২০০৩ সাল থেকে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বব উলমার। পেগাসাস হোটেলের ৩৭৪ নাম্বার কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। তার সন্দেহজনক মৃত্যু অনেক সমালোচনার জন্ম দেয়। খেলোয়াড়দের অনেক প্রশ্ন করা হয়। তবে এ কেসের কোন সমাধান মিলেনি।
২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল অনেক অদ্ভুত ঘটনার জন্ম দেয়। আলোর স্বল্পতার কারণে শেষ তিন ওভার ব্যাট করতে পারেনি শ্রীলংকা। শ্রীলংকা আম্পায়ারকে জানিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে বিজয় ঘোষণা করে দিতে। কিন্তু আম্পায়ার বলেন যে, শেষ তিনবার ব্যাট করতেই হবে। পরে স্বল্প আলোতে শেষ তিনবার ব্যাট করে শ্রীলংকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।