কেরানীগঞ্জে আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত

জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন করে কেরানীগঞ্জের আরও ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কেরানীগঞ্জে ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছেন। এতে কেরানীগঞ্জের মোট ৫টি ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন জানান, বুধবার পর্যন্ত কেরানীগঞ্জে ৮ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সবমিলিয়ে কেরানীগঞ্জে ১১ জন আক্রান্ত মানুষকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আক্রান্তরা হলেন, কোন্ডা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ৪৯ বছর বয়স্ক এক পুরুষ, শুভাঢ্যার শান্তিনগর এলাকার ২৬ বছর বয়সী এক নারী ও কালিগঞ্জ পাকিজা প্লট এলাকার ৩৫ বছরের এক পুরুষ।

এদিকে একের পর এক করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জিনজিরা ইউনিয়নের পর কেরানীগঞ্জের আরও ৪টি ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল জানান, কেরানীগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়ন অত্যন্ত জনবহুল ও ঘবসতিপূর্ন। যে একজন রোগী সনাক্ত হয়েছে এর মধ্যে ৫ জন জিনজিরা ইউনিয়নের। বাকিদের মধ্যে শুভাঢ্যা ইউনিয়নে ৪ জন, কালিন্দী ও কোন্ডা ইউনিয়নে একজন করে রয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৬ এপ্রিল জিনজিরা ইউনিয়ন লকডাউন করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল রাতে আগানগর, শুভাঢ্যা, কালিন্দী ও শাক্তা ইউনিয়ন লকডাউন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে যারা অসহায় দু:স্থ তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সনাক্ত হয় ৫ এপ্রিল দুপুরে। ৪ দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১। ৬ এপ্রিল ৩ জন রোগী সনাক্ত হয়। পরদিন কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া না গেলেও ৮ এপ্রিল নতুন করে আরও ৪ জন করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়। ৯ এপ্রিল আক্রান্ত হয় আরও ৩ জন। প্রতিদিনই কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত হওয়র সংখ্যাটা ভারি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্দেহজাজন ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিদিনই সন্দেহভাজন লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যে এই ৯ জনের রিপোর্ট জানা যাবে।