জুমবাংলা ডেস্ক : গত একদশকে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা বেড়ে প্রায় চারগুণ হয়েছে। তবে সব অর্থের উৎস জানা নেই। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এক শ্রেণির কাছে এতো টাকা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে না বরং সমাজে ধনী-দরিদ্রের আয়ের পার্থক্য আরো বড় হচ্ছে। এ বৈষম্য কমাতে করখাতের সংস্কার ও সামাজিক নিরাপত্তায় জোর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
সুউচ্চ ভবন, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এখন রাজধানীর চিত্র। বাড়ছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। কিন্তু এর বাইরেও আছে এক নীরব সত্য। বহুতল ভবনের পাশে বস্তিঘর যেন তারই জানান দিচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিবেদনেও বারবার উঠে এসেছে এদেশে ধনী হচ্ছে আরো ধনী। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে এক কোটি টাকার বেশি ব্যাংক হিসাব আছে ৭৬ হাজার ২৮৬টি। যা একদশক আগের তুলনায় বেড়েছে ৫৬ হাজার ৬৫০টি। এসব হিসাবে জমা আছে ব্যাংকখাতের মোট আমানতের ৪৪ শতাংশের বেশি। তবে ধনীদের ব্যাংক হিসাবের এ অর্থের কতটুকু বৈধ বা অবৈধ পুরানো সে প্রশ্ন নতুন করে উঠছে সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযানে বিপুল অংকের অর্থ ও চেক জব্দের ঘটনায়।
এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, কোটি টাকার উপরে যাদের ব্যাংকে টাকা আছে তাদের এ অর্থ বৈধ না অবৈধ তা বের করতে হবে।
একদিকে ধারাবাহিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে এমন দ্বৈত অবস্থা চলতে থাকলে তা সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, অর্থনীতিতে সার্বিক আয় বৈষম্য বলে একটা কথা আছে। এ সূচকটা আমাদের দেশে ক্রমশ বাড়ছে। এখন আমাদের ০.৪৮৫ যা বিপদজনক।
বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকয়েক বছরের ব্যবধানে শতাংশের হিসাবে বরাদ্দ কমেছে সামাজিক নিরাপত্তায়। অথচ অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে এ খাতই রাখে মুখ্য ভূমিকা। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।