কৈলাস পর্বতে আরোহন করলে বয়স বাড়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এর কারণ আজও অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। এটির কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি। কৈলাস পর্বতের এরকম বেশ কিছু অজানা রহস্য রয়েছে।
তিব্বতের পশ্চিমে পিরামিডের মতো দাঁড়িয়ে আছে কৈলাস পর্বত। কৈলাসের মত রহস্যময় পর্বত সারা পৃথিবীতে আর একটিও নেই। স্থানীয় মানুষ এবং যাত্রীরা এটিকে কেন্দ্র করে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।
সেখানে মানুষ দ্রুত বার্ধক্যে উপনীত হয়ে যায়। অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে নখ ও চুল। কৈলাস পর্বতকে ঘিরে অনেক ধর্মীয় বাণী প্রচলিত রয়েছে। বৌদ্ধদের কাছে কৈলাস পর্বত হলো সৃষ্টির প্রাণকেন্দ্র। তিব্বতের স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন আকাশের দেবতা এখানে বাস করেন।
কৈলাস পর্বতে আরোহন নিষিদ্ধ। এখানে মানোসরোবর হ্রদ অবস্থিত। এটির অধিকার নিয়ে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এখানের ভগবানের বাস রয়েছে। তাই এর শৃঙ্গে আরাহনকে নিরুৎসাহিত করা হয়।
আজ পর্যন্ত কোন যাত্রী, বিজ্ঞানী বা স্যাটেলাইট এর শৃঙ্গের নানা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এর চূড়ায় আরোহন করার কোন সূত্র আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। কৈলাস পর্বতের নিকটে দুনিয়ার অন্যতম বিশুদ্ধ পানির হ্রদ এবং নোনা জলের হ্রদ অবস্থিত।
এ হ্রদ প্রাকৃতিক উপায়ে নির্মিত হয়েছে নাকি মানুষ কর্তৃক তা এখনো রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, কৈলাস পর্বতের চারদিকে অতিপ্রাকৃত শক্তির অস্তিত্ব রয়েছে। এখানে আধ্যাত্মিক গুরুর সাথে টেলিপ্যাথি সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায় বলে মনে করা হয়।
এখানে তুষার মানবের উপস্থিতি রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। যারা এ পর্বতের শৃঙ্গে আরোহণের চেষ্টা করেছেন সবার সঙ্গে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটেছে। যেমন শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। রাতের আঁধারে কৈলাসের রূপ বদলে যায় বলে বিজ্ঞানীরা খেয়াল করে দেখেছেন।
রাতের অন্ধকারে কৈলাস পর্বত থেকে রহস্যময় আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়। মনে করা হয় আলো এবং শব্দের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে এটি উৎপন্ন হয়ে থাকে। সেখানে যমের দুয়ার নামক এক স্থান রয়েছে যাকে মৃত্যুর ঈশ্বরের প্রবেশদ্বার হিসেবে গণ্য করা হয়।
কৈলাস পর্বতের আকাশে সাত রং এর বিশেষ আলো দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে, চৌম্বক ক্রিয়ার ফলে এরকমটি হয়ে থাকে তবে তার সত্যতা এখনো মিলেনি। একই পর্বতে এত রহস্য এবং বৈচিত্র্যতা বেশ অদ্ভুত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।