নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় চুরির অপবাদে হৃদয় মিয়া (২০) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে কোনাবাড়ীর সেলিমনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে (৩০)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটমাদনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং ঘটনার সময় ‘গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড’ কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেলিমনগর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাতে হৃদয় মিয়াকে ওই কারখানার অফিস কক্ষে জানালার সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই মামলায় রোববার (২৯ জুন) পুলিশ প্রথম অভিযুক্ত হিসেবে হাসান মাহমুদ নামের একজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আরও গ্রেপ্তার হতে পারে।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত হৃদয় মিয়া বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং পরিবারসহ কোনাবাড়ীতে বসবাস করতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।