জুমবাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রে ভোটার ছিলো ২ হাজার ১৬৩টি। ভোট পড়েছে ১ হাজার ১৬১টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৬টি। বৈধ ভোট ১ হাজার ১৫৫টি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) এই সবগুলো বৈধ ভোট পেয়ে মেম্বার পদে জয়ী হয়েছেন এক প্রার্থী। অন্য ছয় প্রার্থী কোনো ভোটই পাননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা এটি। দুআনি, মায়ারামপুর ও কাপাশকান্দি গ্রাম মিলে ৪ নম্বর ওয়ার্ড।
রোববার (২৮ নভেম্বর) ইউপি নির্বাচনে এখানে ভোট গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রের নাম মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ওয়ার্ডে সদস্যপদে জয়ী হয়েছেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের হাসান মিয়া। অন্য ছয় প্রার্থী কোনো ভোট পাননি। তারা হলেন, মোরগ প্রতীকের সফিকুল ইসলাম, ঘুড়ি প্রতীকের মোতালিব মিয়া, ভ্যানগাড়ি প্রতীকের কাউসার মিয়া, তালা প্রতীকের জাহাঙ্গীর হোসেন, আপেল প্রতীকের আলমগীর ও ফুটবল প্রতীকের মিস্টার আলী।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায়, মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৈধ ঘোষিত সব ভোটই বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী হাসান মিয়া পেয়েছেন। বাকি ছয়জনের কোনো ভোট দেখানো হয়নি। তবে এই ফলাফল মানতে পারছেন না মোরগ প্রতীকের সফিকুল ইসলাম।
সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী, মা, ছোট ভাই রফিকুলসহ আমি মোরগ প্রতীকে ভোট দিয়েছে। আমার ভোটটি গেল কোথায়? বিষয়টি ফলাফল ঘোষণার পরপরই জিজ্ঞেস করেছি। তখন ভোটকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অন্য প্রার্থীদের শূন্য ভোট দেখানো হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হয়ত কোনো সুবিধা নিয়ে এমনটি করেছেন।’
তালা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের দুদিন আগে গ্রামের লোকজন একজনকে সিলেকশন করে। তাই আমি ভোটকেন্দ্রে যাইনি।’ আপেল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর বলেন, ‘আমি ভোটকেন্দ্রে যাইনি।’ অন্য তিন প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, মেম্বার পদে পরাজিত ছয় প্রার্থী কোনো এজেন্ট দেননি। কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। এখানে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।