যেসব গ্রহাণু আমাদের থেকে ০.০৫ জ্যোতির্বিদ্যা একক দূরত্বের মধ্যে আসবে, সেগুলো। এক জ্যোতির্বিদ্যা একক হলো পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব। আর ০.০৫ জ্যোতির্বিদ্যা একক হলো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ২০ গুণের মতো। ১৯৯৮ সালের পর জ্যোতির্বিদেরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা ১৪০ মিটার ব্যাসের ওপরের সব গ্রহাণুকে চিহ্নিত করবেন।
কম ব্যাসের গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড, যেগুলো পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোর খুব অল্প অংশই পর্যবেক্ষকেরা আবিষ্কার করতে পেরেছেন। কাজেই অজানা ছোট উল্কাপিণ্ডের পৃথিবীকে আঘাত করার সম্ভাবনাটা রয়ে গেছে। যদিও বিজ্ঞানীরা প্রায়ই নতুন গ্রহাণু দেখছেন।
তবে আবিষ্কৃত নিকটবর্তী গ্রহাণুর কোনোটিই আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয় বলে মনে করা হচ্ছে। JPL-এর একটি ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আবিষ্কৃত বস্তুসমূহ কোন সময় পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে, সেটার একটা টেবিল আছে।
প্রতিবছর পৃথিবীতে মহাকাশ থেকে আসা প্রায় ১৫ হাজার টন গ্রহাণু বস্তু জমা হয়। এগুলোর বেশির ভাগই আসে খুবই ছোট ধূলিকণার মতো জিনিস থেকে। প্রতি ৩০ সেকেন্ডে ১ মিলিমিটার আকারের ধূলিকণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছড়ে পড়ে। আমরা রাতের আকাশে যেসব উল্কারেখা দেখি, সেগুলো এই ছোট মহাজাগতিক ধূলিকণার জন্যই। অন্যদিকে ১০০ মিটার ব্যাসের উল্কা আমরা প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার বছরে একবার আশা করতে পারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।