কেউ যদি জমি বিক্রি করে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা জমা রাখেন বা লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা জিতে নেন তাহলে তাকে কোটিপতি বলা হবে না। অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে যাদের কোটি বা তার বেশি অর্থের প্রবাহ রয়েছে তাদের এ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত বলা যেতে পারে।
তার মানে আপনি যদি এক কোটি বা তার বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেন তাহলে আপনাকে কোটিপতি বলা যেতে পারে। সাধারণত প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই দেশের কোটিপতি একাউন্টের সংখ্যা প্রকাশ করে থাকে এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে নাকি কমছে সে পরিসংখ্যানের হিসাব রাখে।
যারা দ্রুত সময়ে কোটিপতি হন তারা বৈধ উপায়ে হতে পারেন আবার অবৈধ উপায় অবলম্বন করতে পারেন। ব্যাংকে অর্থ রাখলে তার কর প্রদান করতে হবে এবং আয়ের উৎস উল্লেখ করতে হবে। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো কোন দেশের নির্দিষ্ট সময়ে সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কোটিপতির সংখ্যা হঠাৎ বাড়তে পারে আবার কমতেও পারে।
কোটিপতি ব্যক্তির সংখ্যা বা ব্যাংক একাউন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক না ক্ষতিকারক সেটা বোঝার জন্য দুইটি উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। প্রথম বিষয়টি হচ্ছে ১ কোটি টাকার মূল্য কত অর্থাৎ ক্রয় ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে হবে।
দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে এ অর্থের আয়ের উৎস কি। তার মানে হচ্ছে কোন উৎস থেকে এই অর্থ ইনকাম করা হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন কারো কাছে একলাখ টাকা থাকলে সেটার ভ্যালু ছিল অনেক বেশি।
কিন্তু বর্তমানে এ পরিমাণ অর্থের ভ্যালু তেমন নেই। কারণ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। সেক্ষেত্রে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও দেশের অর্থনীতির জন্য তা তেমন মঙ্গলজনক হবে না।
বৈধভাবে উপার্জন করে সে অর্থ ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখলে বা এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে। এ অর্থ যদি শিল্প খাতে বিনিয়োগ করা হয় এবং কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটানো যায় তাহলে সমাজের উপকার হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।