অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের জন্য চিপসেট তৈরির ক্ষেত্রে কোয়ালকম এবং মিডিয়াটেকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্যামসাং, শাওমি, অপো এবং মটোরোলা স্মার্টফোনে তাদের চিপসেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোয়ালকম এইট জেন ও ডায়মেনসিটি ৯০০০ সিরিজ বের হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোয়ালকমের চিপসেট হচ্ছে অক্টাকর ভিত্তিক প্রসেসর। করটেক্স এর core এখানে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাশাপাশি আট মেগাবাইট বিশিষ্ট L3 ক্যাশ সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। কোয়ালকমের চিপসেট ৩২ বিট সিস্টেম সাপোর্ট করে। অন্যদিকে ডাইমেনসিটি 9200 চিপসেট এ প্রথাগত প্রসেসর সেটাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
এটিও অক্টাকর ভিত্তিক চিপসেট। আট মেগাবাইট বিশিষ্ট L3 ক্যাশ সিস্টেম এখানে দেওয়া হয়েছে। ডায়মেনসিটি ৯ হাজার সিরিজ ৩২ বিট সিস্টেম সাপোর্ট করে। ৩২ বিট ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোয়ালকমের প্রসেসর উপযুক্ত হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যাপ্লিকেশন দ্রুত ওপেন হওয়া এবং রেসপন্স করার ক্ষেত্রে কোয়ালকমের চিপসেট ভালো পারফর্ম করছে। কোয়ালকমের চিপসেট মাল্টিকোর পারফর্মনেন্স এ বেটার রেজাল্ট দিয়েছে।
কোয়ালকম এমন উন্নত কোর ব্যবহার করছে যেন ব্যাটারির পাওয়ার সেভ করা সম্ভব হয়। আগের মডেল থেকে কোয়ালকমের বর্তমান চিপসেটে ৬ শতাংশ পারফরম্যান্স বুস্ট পাওয়া যাচ্ছে।
কোয়ালকমের এড্রেনো গ্রাফিক্স কার্ড এখন আগের থেকে বেশি শক্তিশালী। পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ও ভুলকান ১.৩ এপি ফিচার যোগ করা হয়েছে। এখানে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে হার্ডওয়ার ভিত্তিক রে ট্রেসিং সাপোর্ট।
অন্যদিকে মিডিয়াটেক ইমমোরটালিস গ্রাফিক্স কার্ড এ উন্নতি ঘটিয়েছে। তারা দাবি করছে যে, আগের মডেল থেকে থেকে বর্তমান চিপসেটের কার্ড ৩২ শতাংশ বুস্ট দিতে সক্ষম হচ্ছে। কোয়ালকম এ ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর সিস্টেম ব্যবহার করার ফলে পাওয়ার ডেলিভারি সিস্টেমে উন্নতি এসেছে।
অন্যদিকে মিডিয়াটেক চিপসেটে পাওয়ার সেভ করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নয়েজ রিডাকশন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক সুপার রেজুলেশন ফিচার দেওয়া হয়েছে।
কোয়ালকমের চিপসেট ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সাপোর্ট করবে। অন্যদিকে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটির ৯২০০ চিপসেট ৩২০ মেকাপিক্সেল ক্যামেরা সাপোর্ট করবে। উভয় চিপসেট এ 8K রেজুলেশন বজায় রেখে ভিডিওগ্রাফি করার ফিচার দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।