জুমবাংলা ডেস্ক : মহাখালী পশু জবাইখানায় যারা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন, তাদের পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত বাবদ ২৫% খরচ ডিএনসিসি বহন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রোববার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর ভাষানটেক ও তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠে পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি কর্তৃক কোরবানির জন্য সর্বমোট ১০০জন ইমাম ও ২০০জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রথমবারের মতো ডিএনসিসি কর্তৃক মহাখালী পশু জবাইখানায় যারা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন, তাদের পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত বাবদ ২৫% খরচ ডিএনসিসি বহন করবে। নাগরিকদের মাংস পরিবহনে প্রয়োজনে ডিএনসিসির গাড়ি ব্যবহার করে মাংস বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ডিএনসিসির নিজস্ব ২ হাজার ৪০০জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৪৩৫জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবে। এ ছাড়া আরও ১ হাজার ১০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৫০০জন শ্রমিক কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে।
নগরবাসীদের সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে ও যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে অপসারণের জন্য ডাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক ১৬৯টি, ভারি যান-যন্ত্রপাতি ২৮টি, পানির গাড়ি ১১টি, বেসরকারি ৮২টি এবং ভাড়ায় ১৪৮টি পিকআপভ্যানসহ মোট ৪৩৮টি গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে কোরবানির স্থানে ১০টি ওয়াটার বাউজার দ্বারা তরল জীবানুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে মেয়র স্থানীয় বাসিন্দা, পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কুশল বিনিময় করেন। ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও এলাকার বাসিন্দারা পশুর হাটের সুন্দর ব্যবস্থাপনা করার জন্য মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় মেয়র বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা পশুর হাটের আবর্জনা ও অস্থায়ী স্থাপনা পরিষ্কার করে এলাকবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করব। তিনি পশু কোরবানির বর্জ্য কোনোভাবেই যাতে কেউ ড্রেনে বা ম্যানহোলে না ফেলে সেদিকে এলাকাবাসীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন।
নগরবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ডিএনসিসি কর্তৃক দেয়া ব্যাগে বর্জ্য ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন, আমাদের কর্মীরা দ্রুততম সময়ে সেটি অপসারণ করবে। কিন্তু ড্রেনে বা যত্রতত্র আবর্জনা ফেললে সেটি পরিষ্কার করা দুরূহ হয়ে পড়বে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। নিজেদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে নিজেদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি রাস্তায় যত্রতত্র পশু কোরবানি না করে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার আহ্বান জানান।
মেয়র সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে নগরীর পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম ও হেমায়েত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খোন্দকার মো. নাজমুল হুদা শামিম, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. সগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।