জুমবাংলা ডেস্ক: কোরবানির গরু বিক্রি হোক বা না হোক। খুঁটিতে গরু বাঁধলে গুণতে হবে ১০০ টাকা।
হাটের মধ্যে এক ধরনের সুবিধাবাদিরা এ সুবিধা হাসিল করছেন। এতে হাট ইজারাদার কিছু করছেন না। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে আসা লোকজন নানা বিড়ম্বণার সম্মুখীন হচ্ছেন।
নীলফামারী সদরেরর ঢেলাপীর হাট, শাখা মাছা হাট, বসুনিয়ার, নীলফামারী, মীরগঞ্জ, আমবাড়ী, বোড়াগাড়ী, টেংগনমারী, তারাগঞ্জ, রানীরবন্দর প্রভৃতি কোরবানির হাটে এ চিত্র মিলেছে। আগে থেকেই কিছু লোকজন গরু বাঁধার জন্য খুঁটি পুঁতে রাখেন। আর সেই খুঁটিতে গরু বাঁধলে ১০০ টাকা গুণতে হয় গরুর মালিককে। এটি তাদের মৌসুমী ব্যবসা বলে হাসি তাচ্ছিল্যে এ টাকা আদায় করছেন।
হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো গরুই গরু মালিকের হাতে নেই। এসব হাটে পৌঁছানোর আগেই গরুর দালাল গরুর দড়ি হাতে নিয়ে মালিক বনে যান। দর-দামে সেই গরু বিক্রি করে দিয়ে লাভের টাকা নিয়ে বাকি টাকা গরুর মালিককে দিয়ে দেন দালাল। এই দালাল চক্র খুব সংঘবদ্ধ। তাদের ছাড়া কারও পক্ষেই গরু কেনা সম্ভব নয় এসব হাটগুলোতে।
এসব দালাল সাংকেতিক ভাষায় কথাবার্তা বলে থাকেন। ফলে ক্রেতা বা বিক্রেতা কারও পক্ষেই দাম বোঝার উপায় থাকে না। হাট ইজারাদারা বা হাট তদারকিতে থাকা লোকজনের সামনেই এ ধরনের প্রতারণারা ঘটনা ঘটলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কোরবানির হাটে শুধু খুঁটি নয়, খড়ের আঁটি, কিংবা উঁচু করা জায়গাও ভাড়ায় মেলে। এই উঁচু জায়গায় গরু রাখলে নাকি বড় দেখা যায় এবং সহজে ক্রেতাদের চোখে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।