জুমবাংলা ডেস্ক: কালো ছাড়া অন্য রঙের মহিষই দুর্লভ। আর গোলাপি রঙের মহিষ জীবনে একবারও দেখেননি অনেকে। তবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেকে কোরবানির পশুর হাটে আনা হয়েছে এমন দুটি মহিষ। গোলাপি রঙের পশু দুটি একনজর দেখতে প্রতিদিন এই হাটে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। সাড়া পড়েছে পুরো এলাকাতেই। দৈনিক সমকালের প্রতিবেদক আহমদ উল্লাহ-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
কোরবানি সামনে রেখে এক বছর আগে ভারত থেকে মহিষ দুটি আনেন ফেমাস অ্যাগ্রোর মালিক মীর সাইফু। প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিষের এমন রঙের পেছনের কারণ জিনগত বিশেষ বৈশিষ্ট্য অ্যালবিনো। এ কারণে কোটিতে একটিও এমন মহিষের দেখা পাওয়া ভার। পৃথিবীজুড়েই বিলুপ্তপ্রায় এই মহিষ। তবে পাশের দেশ ভারতে এখনও এমন কিছু মহিষ পাওয়া যায়।
মীর সাইফু জানান, মহিষ দুটির মধ্যে একটি ২০ মণ ও আরেকটি ১৫ মণ ওজনের। দুটি মহিষের দাম চাইছেন ১৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন ক্রেতা এলেও ১০ লাখের বেশি উঠছে না দাম। এ কারণে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেননি। তবে ১৫ লাখের কাছাকাছি দাম পেলেও বিক্রি করে দেবেন। কারণ, পশু দুটির খাবারের পেছনে তাঁর প্রতিদিন বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হচ্ছে।
গোলাপি মহিষ ছাড়াও মীর সাইফু আরও তিনটি বড় আকৃতির মহিষ বাজারে এনেছেন। তাদের মধ্যে একটির নাম দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। মীর সাইফু জানান, বিশালদেহী মহিষটি উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট। ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের পশুটির ওজন ৩৫ মণ। কালো রঙের মহিষটি বেশ লম্বা বলে লোকজন এটির নাম দিয়েছে পদ্মা সেতু। মহিষটির দাম চাইছেন সাড়ে ৯ লাখ টাকা। বাকি দুটি মহিষের ওজন ৪০ মণ।
মইজ্জ্যারটেক হাটের ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, মীর সাইফুর মহিষ দেখতে প্রতিদিন ভিড় হচ্ছে। এতে পশু বেচাকেনায় কিছুটা সমস্যা হলেও মানুষের আগ্রহের কারণে তাঁরা কোনো বাধা সৃষ্টি করছেন না। হাটটিতে বড় থেকে মাঝারি আকৃতির কয়েকশ গরু-মহিষ আনা হয়েছে। দু-এক দিন পর থেকে বেচাকেনা জমবে বলে আশা করছেন।
এদিকে কর্ণফুলী উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে পূর্বপ্রস্তুতি শেষের পথে। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। মইজ্জ্যারটেক ছাড়াও কলেজ বাজার, ফকিরনীর হাট, ফাজিলখাঁর হাটে চলছে প্রস্তুতি। এ ছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশমুখে মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক মাঠেও বসছে গরু, মহিষ ও ছাগলের হাট। ব্যবসায়ী ও খামারিরা এরই মধ্যে কোরবানির পশু আনতে শুরু করেছেন। তবে ক্রেতার দেখা মিলছে না। যাঁরা আসছেন, তাঁরা শুধু ঘুরে দেখছেন।
শুক্রবার মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক এলাকার পশুর হাটে দেখা যায়, বৃষ্টি থেকে পশু বাঁচাতে পুরো মাঠে ত্রিপল লাগানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ইটের অস্থায়ী রাস্তা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা পশু নিয়ে এসেছেন। তবে লোকসমাগম খুব একটা দেখা যায়নি।
হাটের ইজারাদার মুহাম্মদ মহসিন জানান, হাটের প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন। প্রতিটি কাউন্টারে জীবাণুনাশক স্প্রে ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সার্বক্ষণিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি পুরো বাজারে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামরা। থাকবেন পাঁচজন পশু চিকিৎসক। জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিনও থাকবে।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, হাট ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে বাজার ইজারাদারদের। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকবে হাটজুড়ে।
চালু হচ্ছে ৬ লেনের কালনা সেতু, ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব কমবে ২০০ কি.মি
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.