জুমবাংলা ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আযহার দিন রাত দশটার মধ্যে কুরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
তিনি আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে জাইকার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন সকালে পশু কুরবানি দেয়া শুরু হবে। এরপর থেকেই পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু করা হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে সব জায়গা থেকেই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। রাত ১০টার পর কোথাও বর্জ্য থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, কোরবানীর পশুর হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ইতোমধ্যে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা করা হয়েছে। সভায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের জন্য সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সকল মানুষকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট এবং ঈদ উদযাপনের আহবান জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন রয়েছে। সে অনুযায়ী পশুর হাট বসবে। হাটে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য যারা আসবে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রাস্তার পাশে কোথাও হাট বসানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়ের একটা নির্দেশনা আগে থেকেই ছিলো প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে দশ জনের সম্বনয়ে একটি কমিটি করা। এই কমিটি করোনাভাইরাসসহ যেকোনো দুর্যোগে কাজ করবে। সিটি করপোরেশনগুলো সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে দেশ ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে। এর সুফল হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটি করপোরেশন ঈদ উপলক্ষে জয়েন্টলি একটা প্রোগ্রাম চালু করেছে, তা হলো ক্যাশ টাকা ছাড়াই পশু ক্রয়-বিক্রয়।
তিনি বলেন, হাটে কেউ ক্যাশ টাকা না নিলেও হবে, যদি তার কাছে ক্রেডিট কার্ড থাকে। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে সেই টাকা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।
তাজুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ওাসার সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে মহেশখালিসহ অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে জাইকা অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে মাতারবাড়িতে দুইটি প্রকল্প ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার প্রস্তাবনা দিয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে জাইকার প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, জাইকা বাংলাদেশের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।