স্পোর্টস ডেস্ক : অধিনায়ক হিসাবে বিরাট কোহলি জমানার অবসান ঘটেছে। ভারতকে আইসিসি ট্রফি জেতাতে ব্যর্থ হলেও, অস্ট্রেলিয়ায় লাগাতার দুইবার সিরিজ জয়, ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে দাপুটে পারফরম্যান্স, দলকে বিশ্বক্রমতালিকায় এক নম্বরে তুলে আনা, এগুলো কোহলির জমানায় দেখা গিয়েছে। তবে সম্ভবত ক্যাপ্টেন কোহলির সবথেকে বড় অবদান হল শক্তিশালী ভারতীয় ফাস্ট বোলিং ইউনিট তৈরি।
কোহলির অধীনে দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও ভারতীয় টেস্ট দলের দাপট দেখানোর একটা বড় কারণ হল ভারতীয় বোলিং লাইন আপের ২০ উইকেট নেওয়ার দক্ষতা। যে কোনও পরিস্থিতিতে স্পিন সহায়ক পিচ হোক বা পেস সহায়ক, প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করার মতো ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণে যথেষ্ট মালমশলা রয়েছে। মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহরা তো কোহলির অধীনেই বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে উঠেন। আবার কোহলি জমানার শেষের দিকেই উত্থান মহম্মদ সিরাজের।
সিরাজ জাতীয় দলের পাশপাশি আইপিএলেও কোহলির অধীনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন। খারাপ পারফর্ম করেও বিরাটের ব্যাকিং কীভাবে তাঁর কেরিয়ার গড়ে দিয়েছিল, সেই গল্পই শোনালেন সিরাজ। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে আরসিবির হয়ে আমি আমার জীবনের সবথেকে খারাপ পারফর্ম করি। অন্য় কোনও ফ্রাঞ্চাইজি হলে তো আমাকে ছেড়েই দিত। অন্য যে কোনও দল হলে বাদ পড়ে যেতাম, তবে বিরাট ভাই আমাকে রেখেছিল এবং দল আমায় রিটেনও করে। আজ আমার বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাস থেকে শুরু করে যা কিছু দেখা যায়, তার পুরো ক্রেডিটাই বিরাট ভাইয়ের।’
২০১৮ সালের আইপিএলে সিরাজ ৮.৯৫-র ইকোনমিতে মাত্র ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলায়। সিরাজের মতে বোলাররা শুধুমাত্র কোহলির দিকে তাকালেই বাড়তি এনার্জি পেয়ে যায়। ‘ওর মতো একজন অধিনায়ক বোলারদের জন্য কিন্তু ভীষণ সাহায্যের। বিরাটের এনার্জিটাই এমন যে কোনও ফাস্ট বোলারের এনার্জি একটু কমে গেলে, ওর দিকে তাকালেই বাড়তি এনার্জি পেয়ে যাবে। ও বাকিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’ দাবি আরসিবি তারকার। এবার অবশ্য বিরাট নয়, ফ্যাফ ডু’প্লেসির অধীনে খেলবেন সিরাজ। ২৭ তারিখ পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাদের মরশুম শুরু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।