বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কোয়ান্টাম কম্পিউটার, যার ক্ষমতা কল্পনাকেও হার মানায়। বাস্তবেই তার নাগাল পাওয়ার কথা স্বীকার করল গুগল। সেপ্টেম্বরেই ফাঁস হওয়া গবেষণাপত্রে প্রমাণ মিলেছিল, কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছে গুগল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তখন এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি স্বীকার করেনি। অবশেষে বুধবার নেচার সাময়িকীতে গুগলের কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে।
বলা হয়ে থাকে- কোয়ান্টাম কম্পিউটারের নাগাল যে বা যারা পাবে, তারাই প্রযুক্তি বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এই কম্পিউটার তৈরি করে ফেলেছে গুগল। কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি বা কোয়ান্টাম আধিপত্য অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
নেচার সাময়িকীতে গুগলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের ৫৩-বিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটারটির নাম হচ্ছে সিকেমোর। এর মাধ্যমে একটি বিশেষ গাণিতিক সমস্যার সমাধান মাত্র ২০০ সেকেন্ডে বা ৩ মিনিটের কম সময়ে করতে পেরেছেন। অথচ বর্তমানের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার দিয়ে ওই একই গাণিতিক সমস্যার পূর্ণ সমাধান করতে সময় লাগবে প্রায় ১০ হাজার বছর!
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির অনেকগুলো দরজা খুলে যাবে। নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার, নতুন পদার্থ আবিষ্কার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
যদিও গুগলের সিকেমোর কোয়ান্টাম কম্পিউটারটি ব্যবহারিক প্রয়োগের উপযোগী করে তৈরি করা হয়নি, বরং কোয়ান্টাম কম্পিউটার কি ধরনের অসাধ্য সাধন করতে পারে তা দেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।