বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: পৃথিবীর ভোরের দৃশ্য কেমন তা মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু মঙ্গল গ্রহের ভোর কেমন তা এতদিন অজানাই ছিল। এবার সেই দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করল মানুষ। আর সেটা সম্ভব হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাত ধরে।
সম্প্রতি মার্স তথা মঙ্গল গ্রহের কিছু চমৎকার ছবি তুলে পাঠিয়েছে নাসার রোবট যান ‘পারসিভিয়ারেন্স রোভার’। আর সেসব ছবিতেই ফুটে উঠেছে লাল গ্রহের ভোরের দৃশ্য। এ খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীর ভোর বলতে দিনের প্রথম অংশকে বোঝায়। যখন সূর্য উঠতে শুরু করে। মূলত এটা সূর্যোদয়ের কয়েক মুহূর্ত আগে ঘটে থাকে। সূর্যোদয়ের সময় পূর্ব দিগন্তে মৃদু সূর্যালোক ছড়িয়ে পড়ে। সেই আভায় আস্তে আস্তে সরে যায় মেঘ। তবে এ সময় দিগন্তের নিচে অবস্থান করে সূর্য।
পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেরও নিজস্ব একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে। যদিও এটি পৃথিবীর তুলনায় খুব পাতলা। সৌরজগতের অন্যতম সদস্য মঙ্গল গ্রহেও দিনরাত হয়। এখানে একদিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। মঙ্গলের ভোরও পৃথিবীর ভোরের দৃশ্যের মতোই। অন্তত নাসার তোলা কিছু ছবি সে কথাই বলছে।
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সেই কৌতূহল থেকেই নিরন্তর চলছে গবেষণা। তারই অংশ সম্প্রতি লাল গ্রহে পাঠানো হয় রোবট যান ‘পারসিভিয়ারেন্স রোভা’।
মূলত সেখানে প্রাণের সন্ধানে কাজ করছে রোবটটি। আর এই রোবটের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মঙ্গলের ভোরের দৃশ্য। ছবিগুলো সম্প্রতি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সে।
মঙ্গলের ভোরের দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে চলতি সপ্তাহে এক টুইট বার্তায় নাসা বলেছে, ‘মঙ্গল নিশ্চিতভাবেই ধুলিময় ও ঠান্ডা। কিন্তু এর একটি নির্দিষ্ট ও কাঁচা সৌন্দর্য আছে। এটা লাল গ্রহের ভোরের দৃশ্য। যেখানে মেঘগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। সময় নিয়ে দেখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।