স্পোর্টস ডেস্ক : লোকেশ রাহুলের কিক করা বল আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেন এমএস ধোনি। পারলেন না। যেন তার ক্যারিয়ারের শেষবেলার প্রতীকী দৃশ্য!
সময় ফুরিয়ে এসেছে নিজেও বুঝতে পারছেন। দলকে অনেক কিছু দিয়েছেন। এখন তরুণদের কিছু দিয়ে যেতে পারলেই
স্বস্তি। ম্যানচেস্টারে আজ ভারত যদি নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে যায়, তাহলে এটাই ধোনির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়ে যেতে পারে। ভারতের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আগের অবস্থানে নেই। দৃষ্টি এখন সবার বিরাট কোহলির দিকে। আবার কোহলির দৃষ্টি ধোনির দিকে।
ভারতীয় সাংবাদিকদের ধারণা, ধোনি এখন দলের বোঝা। কোহলির দৃষ্টি থাকার কারণেই তিনি নাকি বিশ্বকাপ খেলতে পারছেন!
অথচ ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দেয়া এই অধিনায়ক একের পর এক দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। সেই তিনি নাকি এখন দলের বোঝা!
পারফরম্যান্স আর নেতৃত্বগুণে এক দশক জনপ্রিয়তার চূড়ায় ছিলেন তিনি। তার ক্রিকেটজীবন, তার ব্যক্তিজীবন অনুকরণের উৎস। রূপকথার জীবন শেষ হয়েছে বাস্তবতার কশাঘাতে।
গত কয়েক বছর ধরে তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিশ্বকাপে তাকে নিয়ে আলোচনার বেশিরভাগ নেতিবাচক। তার স্ট্রাইক রেট, ব্যাটিংয়ের ধরন, মানসিকতা- এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতীয় সাংবাদিকরা তো পারলে তার নাম না লিখেই খবর তৈরি করতে পছন্দ করবেন। অথচ কয়েক বছর আগেও ধোনি ছিলেন তাদের প্রথম চাহিদা। সময় হয়তো এভাবেই একদিন সবাইকে জনপ্রিয়তার নিচে নামিয়ে দেয়।
ধোনির নেতৃত্বে কোহলির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু। তার কাছ থেকেই পেয়েছেন অধিনায়কের ব্যাটন। দলের সাফল্যের জন্য ৩৮ বছরের বুড়ো ধোনির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য তাকে দলে রেখেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। লেখা- জ্যোতির্ময় মণ্ডল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।