জুমবাংলা ডেস্ক : এক সময়ের আলো ঝলমলে ক্যাসিনোগুলোতে এখন শুধুই অন্ধকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অভিযানে সবকিছু গুটিয়ে পালিয়েছেন অনেকে। যদিও র্যাবের হুঁশিয়ারি, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই যুবলীগ নেতা হওয়ায় সংগঠনটির প্রধানের কণ্ঠে ঝরছে, ক্ষোভ-হতাশা।
১৪ সেপ্টেম্বর, সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ মা*দক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী ও দুর্নীতিতে কোনো ছাড় নয় সে যেই হোক।
শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শুরুটা হয় যুবলীগ নেতা খালেদ ভূঁইয়াকে দিয়ে।
অভিযান চলে রাজধানীসহ সারা দেশের ক্যাসিনো, জু* ও মা*দকের বিরুদ্ধে। আটক হয় সরকার দলীয় এবং পরিচয় ব্যবহারকারী বেশ কয়কেজন।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবের নামে অবৈধ ক্যাসিনা ও জু*য়ার ব্যবসা করছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা। বাদ নেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
মতিঝিল থানার বিভিন্ন এলাকার স্পোর্টস ক্লাবগুলোতে জু*য়ার আসরকে ক্যাসিনোতে উন্নীত করার মূল উদ্যোক্তা হিসেবে উঠে এসেছে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম।
নাম এসেছে মোহামেডান, ফু-ওয়াং, ফকিরেরপুল ইয়ং মেনস, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, আরামবাগ, ভিক্টোরিয়া, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সৈনিক ক্লাব, আজাদ বয়েজ ক্লাব পরিচালনায় জড়িত কর্তাব্যক্তিদের প্রায় সবারই। আর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নাম এসেছে সম্রাট ও আরমানের। রয়েছে এলাকার এমপি, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় থানার সরকার দলীয় নেতাদের নাম। বাদ পড়েনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, অনেকেই অবৈধ ব্যবসা গুটিয়ে পালিয়েছেন। তালিকা ধরে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযুক্তদের অধিকাংশই যুবলীগ নেতা। সংগঠনটি প্রধান জানান, যুবলীগ এখন ধ্বংসের পথে।
তিনি বলেন, ‘দলটি পঙ্গু হয়ে গেল। বিএনপি বলছে ঢাকা শহর মসজিদের শহর ছিলো এখন ক্যাসিনোর শহর। এর থেকে নিগৃহিত হবার আর কি আছে।’
সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টিফোর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।