১৯৬০ সালের সময়। স্যাটেলাইট একটি অদ্ভুত জলযান বা উড়োজাহাজের ছবি তোলে। ওই সময়ে স্যাটেলাইট সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর নজর রাখছিল। এ ধরনের বিশাল যন্ত্র চালিত যান দেখে সবাই বিস্মিত হয়। এটির আকার এমন যে তাকে ডুবোজাহাজ বা জলযান বলা যায় না আবার উড়োজাহাজও নয়। এটিকে পরে নাম দেওয়া হয় কাস্পিয়ান সাগরের দানব।
বর্তমানে বোয়িং কোম্পানির বিশাল আকৃতির উড়োজাহাজ দেখে কেউ অবাক হয় না। কিন্তু আজ থেকে ছয় দশক আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন যে দানব আকৃতির উভচর যান তৈরি করেছিল তা দেখে সবাই অবাক হয়েছিল। তবে হতাশাজনক বিষয় যে, এটিকে তেমন কাজে লাগানো যায়নি।
জাহাজ ও বিমানের মিশ্রণে তৈরি বিশাল আকৃতির এই দ্রুতগামী যান বেশ বিপদজনক ছিল। শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য এটিকে তৈরি করা হয়েছিল। এটিকে এখনো সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিমানবন্দর ছাড়াই এটি আকাশে উড়তে পারে।
সোভিয়েত ও রাশিয়ার শত্রুদের মোকাবেলা এবং প্রতিপক্ষের নৌবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য এটিকে তৈরি করা হয়েছিল। এটি পানির কয়েক মিটার উপর দিয়ে উড়তে পারতো। তবে অফিশিয়ালি মিলিটারি অভিযানে এটাকে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
ওই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এটিকে নিয়ে গর্ব করত। কারণ বিশ্বের আর কোন দেশের কাছে এ ধরনের বিপদজনক জাহাজ ছিল না। সোভিয়েত সেনাবাহিনীর এক গোপন প্রকল্প ছিল এটি। এটি তৈরির মূল কারিগর ছিল আলী গাজী আব্দুল গালিমভ।
তিনি জাহাজটি তৈরির পেছনে ১৪ বছর সময় ব্যয় করেছেন। এটির সব যন্ত্র বর্তমানে বিকল হয়ে গেছে। তবে এটিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে যেন মানুষ সোভিয়েত ইউনিয়নের পুরনো ঐতিহ্যের কথা ভুলে না যায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের শক্তিমত্তা এবং বিশালত্বের প্রতীক হিসেবে মিলিটারি পার্কে পর্যটকদের জন্য এটিকে রাখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।