স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ক্রিকেটারদের অন্তত ২ সপ্তাহের জন্য ছুটি দেয়া হয়েছে। সেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন বায়োবাবলের মধ্যে থাকতে থাকতে অনেকটাই হাঁফিয়ে উঠেছিলেন তারা। এ জন্য নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে এই ছুটিটা তাদের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। আগামী ২৪ আগস্ট আবারও বায়োবাবলের মধ্যে ঢুকে যাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
তবে তার আগে এই ছুটির মধ্যেও যেন ক্রিকেটাররা অবাধে চলাফেরা না করে, শুধুমাত্র আপনজন তথা পরিবারের লোকদের সঙ্গেই সময় কাটায় সে ব্যাপারে তাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে। আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এই নির্দেশনা দেয়ার একটাই কারণ, করোনা সংক্রমণের যে উর্ধ্বগতি, তাতে অবাধ চলাফেরা করলে ক্রিকেটারদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। যার ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলাটাও শঙ্কার মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে মেডিকেল ও ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগও কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, কী কী বিষয় মেনে চলবেন এবং তাদের চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পরিবারের মাঝেই থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং জনসমাগমে যাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’
নিউজিল্যান্ড দল বাংলাদেশে আসবে ২৪ আগস্ট। সিরিজ শুরুর অন্তত এক সপ্তাহ আগে। তো সিরিজের জন্য তাদের কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা হয়নি কেন? এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে গেলে আমরাও প্র্যাকটিস ম্যাচ চাই যাতে খেলোয়াড়রা কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাদেরও আমরা প্রস্তুতি ম্যাচের প্রস্তাব দিয়েছিলাম; কিন্তু অ্যাডিশনাল বায়োবাবলের বিষয় আছে। অন্য ভেন্যুতে খেলা, সেখানে বায়োবাবল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই ব্যাপারে নিউজিল্যান্ড নিরুৎসাহী। তারা চাচ্ছে যত কম চলাফেরায় সিরিজটা শেষ করা যায়। এই ব্যাপারেই আলোচনা হচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেরা শুরুর সময়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের যে পরিকল্পনা, নিউজিল্যান্ডের সাথে যেহেতু আমাদের সময়ের বেশ পার্থক্য রয়েছে…, তাদের দর্শকদেরও একটা ব্যাপার আছে। সবকিছু বিবেচনা করে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করেছি। চারটার দিকে খেলা শুরু করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। সেই পর্ব খেলার জন্য টাইগারদের প্রথমে যেতে হবে ওমানে। তো সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আগেই মাস্কাটে পাঠানোর চিন্তা চলছে বিসিবির। এ নিয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘ওমানে আমাদের প্রি-ইভেন্ট ক্যাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও কথা চলছে। চূড়ান্ত হলে জানবেন। আইসিসির সাথেও বোঝাপড়ার ব্যাপার আছে। কয়দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হবে, যেখানে ক্যাম্প করব সেখানে নিয়মকানুন কী কী রয়েছে এসব বিষয়ে আমাদের ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ কাজ করছে। আইসিসির প্রতিক্রিয়া পেলেই চূড়ান্ত করতে পারব।’
আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈকিক বাস্তবতায় দেশটির অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা আছে? জবাবে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের কাজ চলছে। সিরিজ আয়োজন নিয়ে আমাদের লজিস্টিকস অ্যারেঞ্জমেন্ট চলছে। তারা যদি আসতে না পারে তাদের বিষয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরণের তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।