স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের সদ্য সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেছেন, ১৯ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মাত্র দুইবার তিনি আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ইশোশনাল হয়ে পড়েছিলেন।
কোন দুইবার, সেটি শনিবার রাতে তামিম ইকবালের লাইভ শো-তে প্রকাশ করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
মাশরাফী বলেন, প্রথমবার আবেগের বাধ ধরে রাখতে পারেননি যখন ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়লেন। দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটে যখন এবছরের শুরুতে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।
মাশরাফী অধিনায়কত্ব থেকে অবসরে যাওয়ার পর ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন তামিম। এদিন নিজের লাইভ শো-তে মাশরাফীর কাছে ২০১১ বিশ্বকাপে বাদ পড়ার বিষয়ে প্রশ্ন রেখেছিলেন তামিম। জানতে চান, সেই সময়ে মাশরাফীর অনুভূতি?
মাশরাফী উত্তর দেন এভাবে, ‘যখন শুনলাম ২০১১ বিশ্বকাপ বাংলাদেশ হবে, তখন থেকেই কিন্তু মনে একটা স্বপ্ন চলে আসছিল…। তার কয়েকদিন আগে ইনজুরি থেকে ফিরে এসে বিকেএসপিতে ঢাকা লিগে খেলতে গিয়ে ইনজুরড হলাম। একবারের জন্যও তখন ভাবিনি খেলতে পারবো না।’
‘ইনজুরি হওয়ার পরে যখন শ্রীলঙ্কায় গেলাম, ডক্টর বলল একটাই ঝুঁকি থাকবে, তোমার খেলতে যেয়ে ছিঁড়ে যেতে পারে। তুমি যদি ওটা টলারেট করে খেলতে পরো সমস্যা নেই। আমি অ্যাগ্রি করেছি, ডক্টর রিপোর্টও পাঠাল। তারপরও আমাকে যখন নেয়নি, আমার কোন অভিযোগ নেই। আফসোস অবশ্যই আছে। এটা আমি বলবো না যে আফসোস নেই, খারাপ লাগা নেই। আমি কাউকে দোরারোপ করিনি কখনো এবং করবোও না।’
মাশরাফী এরপরই তামিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘খারাপ লাগার কথা যেহেতু তুই বললি, আসলে দুইটা সময়ে আমি ক্রিকেটে ইমোশনাল হয়েছি। আমি যখন অবসর নিয়েছি অধিনায়কত্ব থেকে, তখনও ড্রেসিং রুমে অতটা ভেঙে পড়িনি। যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে ওই সময়ে আমার উচিত হয়নি, সেটা হচ্ছে ২০১১ বিশ্বকাপে। আমি আসলে ধরে রাখতে পারিনি নিজেকে।’
মাশরাফী যোগ করেন, ‘আর দ্বিতীয় হচ্ছে- শেষ যখন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেই। তোরা সবাই ছিলি। কারণটা বলেছিলাম, যেটা এখানে আনতে চাচ্ছি না।’
তবে ২০১১ বিশ্বকাপে খেলতে না পারার দুঃখর চেয়ে ভালো লাগা এখন তিনগুণ বলেও জানান মাশরাফী। কারণ হিসেবে বলেছেন- বিশ্বকাপ চলাকালে অসুস্থ স্ত্রীর পাশে থাকতে পেরেছিলেন।
বলেন, ‘এখন এটাও মনে হয়, যদি আমি বাসায় না থাকতাম, ওই দিন ম্যাচে থাকতাম, হয়তো আমি আমার বউকে হাসপাতালে নিতে পারতাম না। ওইটা চিন্তা করলে খারাপ লাগা থেকে ভালো লাগাই এখন বেশি কাজ করে। অবশ্যই খারাপ লাগা যেমন আছে, তিন গুন ভালো লাগাও আছে। কারণ এটা আল্লাহ তায়ালার সিদ্ধান্ত।’
তামিমের আড্ডায় এদিন মাশরাফী ছাড়াও ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।