ক্রিকেট খেলায় একজন ব্যাটসম্যান মোট ১০ টি উপায়ে আউট হতে পারেন। এর মধ্যে LBW সবথেকে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে এবং এটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও রয়েছে। কীভাবে ক্রিকেটে LBW আসলো এবং এটি নিয়ে যত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে এ আর্টিকেলে।
LBW এর নিয়ম প্রথমে আসে ১৭৭৪ সালে। এর আগে পা অথবা প্যাড দিয়ে স্টাম্প ব্লক করে দাঁড়ানো হতো এবং ক্রিকেট খেলাকে বোরিং করে তোলা হতো। তবে বর্তমানে LBW যেভাবে বিবেচনা করা হয় তা তখন এরকম ছিল না।
প্রথম দিকে প্যাড দিয়ে বল ব্লক করলে আউট দিয়ে দেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে এই নিয়মে পরিবর্তন আসে। অফ স্ট্যাম্পেরে বাইরের বল প্যাডে লাগা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে ১৯৮০ সালে এসে বলা হয় যে অফ স্ট্যাম্পেরে বাইরের বল থেকেও LBW আউট হওয়া সম্ভব।
LBW আউট হওয়ার জন্য অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমে নো বল হওয়া যাবে না। বল থাকতে হবে উইকেটের লাইনে। বডি স্পর্শ করার আগে বল ব্যাটে টাচ লাগা যাবে না। বল উইকেট বরাবর হিট করবে এরকম পজিশনে থাকতে হবে।
একজন ব্যাটসম্যানের ব্লাইন্ড স্পটে বল পড়লে সাধারণত তাকে LBW দেওয়া হয় না। কেননা ঐ বলটি লেগ সাইড থেকে আসে। তবে ব্যাটসম্যান যদি পজিশন পরিবর্তন করে তাহলে তা LBW হবে কিনা এ নিয়ে আইসিসি দীর্ঘদিন সুরাহা করতে পারেনি।
এজন্য LBW নিয়ে এখানে বিতর্ক এবং সমালোচনার তৈরি হয়েছিল। ভারত ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে জো রুটের উইকেট নিয়ে রবীন্দ্রচন্দ্র আশ্বিন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। LBW সিস্টেমের আরো একটি বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে আম্পায়ারস কল।
আম্পেয়ার স্কুল সিস্টেমে মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তিনি যদি আউট ঘোষণা করেন তাহলে আউট এবং তিনি যদি নোট আট ঘোষণা করেন তাহলে এটি বহাল থাকবে। আমটার স্কুল উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। স্বয়ং শচীন টেন্ডুলকার LBW এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এমনকি ২০২১ সালেও LBW এর নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ক্রিকেটে LBW হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যা বহু বছর ধরে বিতর্কের মধ্যে ছিল এবং অনেকবার এর আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই LBW নিয়ে এখনও নানা আলোচনা এবং সমালোচনা অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।