কোটি বাঙালির হৃদয়ে ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, এক অখণ্ড আবেগ। সেই আবেগের মাঠে যখন নিয়মের পালাবদল হয়, তা সরাসরি ছুঁয়ে যায় খেলোয়াড় থেকে দর্শক সবারই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) সম্প্রতি এমন কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা মৌলিকভাবে বদলে দিতে চলেছে ক্রিকেটের চরিত্র। “ক্রিকেট খেলার নতুন নিয়ম” শিরোনামে এই রূপান্তর শুধু খেলার গতিই বাড়াবে না, ন্যায্যতা ও উত্তেজনাকেও করবে ঊর্ধ্বমুখী। ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে কার্যকর হওয়া এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত।
ক্রিকেট খেলার নতুন নিয়ম: কেন এই পরিবর্তনের ঝড়?

গত জুনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ICC ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে নেয়া হয় একাধিক মৌলিক সিদ্ধান্ত। এই কমিটিতে সাবেক খেলোয়াড়, আম্পায়ার ও ক্রিকেট প্রশাসকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল তিনটি:
- খেলার গতি বৃদ্ধি (বিশেষ করে T20 ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায়)
- খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
- দর্শকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা
ICC-এর চেয়ারম্যান সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, “আধুনিক ক্রিকেটের চাহিদা ও প্রযুক্তির অগ্রগতিকে আমলে নিয়েই এই পরিবর্তন। আমাদের লক্ষ্য খেলাটিকে আরও গতিশীল, প্রতিযোগিতামূলক ও ন্যায্য করা।” [সূত্র: ICC প্রেস রিলিজ, ১৫ জুন ২০২৩]
যে ৮টি বড় পরিবর্তন খেলাকে বদলে দেবে
১. স্টপ ক্লক: সময় নষ্টের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে পুরুষদের ODI ও T20I ম্যাচে চালু হয়েছে এই নিয়ম। এখন থেকে:
- প্রতি ওভার শেষ হওয়ার পর ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ফিল্ডিং দলকে পরের ওভার শুরু করতে হবে।
- প্রথমবার লঙ্ঘনে আম্পায়ার সতর্ক করবেন।
- দ্বিতীয়বার লঙ্ঘনে জরিমানা হিসেবে ৫ রান যোগ হবে ব্যাটিং দলের স্কোরে।
- পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও ২০২৪ এপ্রিলের পর স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা।

কেন এই পরিবর্তন?
ICC-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২০২৩ মৌসুমে ODI ম্যাচগুলোর গড় সময় ছিল ৭ ঘন্টা ২৯ মিনিট, যা নির্ধারিত ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিটের কাছাকাছি। কিন্তু T20I-তে ২০ ওভারের ম্যাচে গড়ে ৪ ঘন্টা লাগার প্রবণতা উদ্বেগজনক। স্টপ ক্লক চালু হওয়ার পর T20I ম্যাচের গড় সময় কমে ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিটে নেমেছে। [সূত্র: ICC Match Referees’ Report, Q4 2023]
২. ডিআরএসে আম্পায়ার্স কল: উচ্চতার মার্জিন বাতিল
LBW রিভিউতে আম্পায়ার্স কলের ক্ষেত্রে এসেছে যুগান্তকারী রদবদল:
- পূর্বের নিয়ম: বল স্ট্যাম্প স্পর্শ করলেও উচ্চতার মার্জিন (“Height Margin”) থাকলে আম্পায়ার্স কল বহাল থাকত।
- নতুন নিয়ম: বল স্ট্যাম্প স্পর্শ করলে উচ্চতার মার্জিন (“Height Margin”) আর আম্পায়ার্স কলের আওতায় থাকবে না। অর্থাৎ, বল স্ট্যাম্প স্পর্শ করলেই আউট!
- শুধুমাত্র ইমপ্যাক্টের মার্জিন (“Impact Margin”) আম্পায়ার্স কলের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকছে।

খেলায় প্রভাব:
এই পরিবর্তনের ফলে LBW-তে আউটের সংখ্যা ১৫-২০% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে দ্রুতগতির বোলারদের জন্য এটা বড় সুবিধা। বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের মতে, “এই নিয়ম স্পিনারদের জন্য আশীর্বাদ। এখন বল স্ট্যাম্প স্পর্শ করলেই আমরা আউটের দাবি করতে পারব।”
৩. নন-স্ট্রাইকার রান আউট: ‘মানকাডিং’ এখন সম্পূর্ণ বৈধ
বিতর্কিত ‘মানকাডিং’ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ICC:
- পূর্বে: এই আউটকে ‘অনুচিত আচরণ’ (Unfair Play) এর ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল।
- নতুন নিয়ম: এটিকে সরাসরি রান আউটের (Law 38) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- প্রক্রিয়া: নন-স্ট্রাইকার ক্রিজ ছাড়লে বোলার সরাসরি উইকেট ভাঙতে পারবেন।
- সতর্কীকরণ বাধ্যতামূলক নয়: বোলারকে আগে সতর্ক করার বাধ্যবাধকতা উঠে গেছে।
কেন এই স্বীকৃতি?
ICC ক্রিকেট কমিটির সদস্য ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল বলেছেন, “ব্যাটসম্যান যদি নিয়ম ভঙ্গ করে রান চুরি করতে যায়, তবে সেটা আটকানো বোলারের দায়িত্ব। এটাকে ‘অনুচিত’ বলা বন্ধ হওয়া উচিত।” [সূত্র: MCC Laws of Cricket Amendment 2022]
৪. ওভার রেট জরিমানা: টেস্ট ক্রিকেটে পয়েন্ট কাটা
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (WTC) ধীর গতির ওভার রেটের জন্য কঠোর শাস্তি:
- প্রতি ধীর ওভারের জন্য ১ পয়েন্ট কাটা হবে দলীয় পয়েন্ট তালিকা থেকে।
- গণনা পদ্ধতি: নির্ধারিত ওভার সংখ্যার সাথে ম্যাচে বোলিং করা ওভার তুলনা করা হবে।
- উদাহরণ: ৯০ ওভারের টেস্টে যদি একটি দল ৮৫ ওভার বোলিং করে, তবে ৫ পয়েন্ট কাটা যাবে।

প্রভাব:
২০২৩-২০২৫ WTC সাইকেলে ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট কাটা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের জন্য এই নিয়ম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঘরোয়া ম্যাচে ওভার রেট ধীর রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
৫. কনকাশন প্রতিস্থাপন: নমনীয় নিয়ম
খেলোয়াড়দের মাথায় আঘাতের (কনকাশন) ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনের নিয়মে শিথিলতা:
- পূর্বে: প্রতিস্থাপন খেলোয়াড়কে অবশ্যই “লাইক-ফর-লাইক” (সমান ভূমিকা) হতে হত।
- নতুন নিয়ম: এখন ক্যাপ্টেন ও কোচ যেকোনো খেলোয়াড়কে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন, তবে ম্যাচ রেফারির অনুমোদন লাগবে।
- শর্ত: প্রতিস্থাপন খেলোয়াড় অবশ্যই মূল স্কোয়াডের সদস্য হতে হবে।
নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গি:
এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে ক্রিকেটারদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর চিন্তা। অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেই কনকাশন সাবস্টিটিউট নিয়ম চালু হয়। ড. পিটার ব্রুকার (ICC মেডিকেল কমিটি) বলেছেন, “খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই নমনীয়তা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।”
৬. ফ্রি-হিট নিয়ম: ক্ল্যারিটি এন্ড কনসিসনেস
নো-বলের পর ফ্রি-হিট নিয়মে আনা হয়েছে স্পষ্টতা:
- ফ্রি-হিটে আউট হবার উপায়: শুধুমাত্র রান আউট, হিট উইকেট, বা অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে আউট হতে পারে ব্যাটসম্যান।
- ক্যাচ/বোল্ডে আউট নয়: ফ্রি-হিট ডেলিভারিতে ক্যাচ দিলে বা বোল্ড হলে ব্যাটসম্যান আউট হবেন না।
- ব্যাটিং দলের সুবিধা: এই নিয়মে ব্যাটিং দল অতিরিক্ত ৭-১০ রান পাচ্ছে গড়ে।
৭. পিচ ও আউটফিল্ড রেটিং: স্বচ্ছ পদ্ধতি
ম্যাচের আগে পিচ ও আউটফিল্ড রেটিং দেয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন:
- পূর্বে: ম্যাচ রেফারি ও দলীয় অধিনায়করা গোপনে রেটিং দিতেন।
- নতুন নিয়ম: এখন রেটিং হবে পাবলিক ডকুমেন্ট এবং ICC ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
- রেটিং স্কেল: ১ থেকে ৬ (১ = খুব খারাপ, ৬ = উৎকৃষ্ট)।
- প্রতিক্রিয়া: ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে নাগপুর পিচকে “গড়” (৩/৬) রেটিং দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।
উদ্দেশ্য:
পিচ প্রস্তুতকারকদের দায়বদ্ধতা বাড়ানো এবং দলগুলোকে রেটিং চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয়া।
৮. বাউন্ডারি রোপিং: দর্শক নিরাপত্তায় নতুন নির্দেশনা
দর্শকদের নিরাপত্তায় সীমানা রেখার (Boundary Roping) নিয়মে কড়াকড়ি:
- দূরত্ব: রোপিং থেকে সীমানা রেখার ন্যূনতম দূরত্ব ২.৫ মিটার (৮.২ ফুট)।
- কুশনিং: রোপিংয়ের নিচে ফোম বা রাবারের কুশনিং বাধ্যতামূলক।
- কারণ: ২০২৩ আইপিএলে শাহরুখ খানের আঘাতের ঘটনা এই পরিবর্তনের প্রেরণা।
এই নিয়ম পরিবর্তনের প্রভাব: ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক?
ইতিবাচক দিক:
- খেলার গতি বৃদ্ধি: স্টপ ক্লক T20 ম্যাচের সময় ২০% কমিয়েছে।
- স্পিনারদের সুবিধা: নতুন DRS নিয়মে LBW আউটের হার বৃদ্ধি পাবে।
- খেলোয়াড় নিরাপত্তা: বাউন্ডারি রোপিং ও কনকাশন সাবস্টিটিউট নিয়ম জীবন রক্ষা করবে।
- টেস্ট ক্রিকেটের প্রাণ ফেরা: ওভার রেট জরিমানায় ম্যাচের গতি বাড়বে।
চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা:
- স্টপ ক্লকের চাপ: বিশেষ করে গরম দেশে খেলোয়াড়দের উপর শারীরিক চাপ বাড়তে পারে।
- মানকাডিং বিতর্ক: খেলার রূঢ়তা বাড়ার আশঙ্কা করছেন রাহুল দ্রাবিড়ের মতো সাবেক তারকারা।
- DRS জটিলতা: আম্পায়ার্স কলের নতুন সংজ্ঞা আম্পায়ারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন নিয়মের প্রভাব

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) ইতিমধ্যে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কিছু নিয়ম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে:
- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (DPL) স্টপ ক্লক চালু হয়েছে।
- নতুন DRS নিয়ম অনুশীলন করছেন স্পিনাররা।
- BCB-এর ক্রিকেট অপারেশনস প্রধান জাভেদ ওমর বলেছেন, “আমরা ন্যাশনাল একাডেমিতে এই নিয়মগুলো রপ্ত করার বিশেষ সেশন চালু করেছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে সুবিধা পেতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটেই অভ্যস্ত হতে হবে।” [সূত্র: BCB ওয়েবসাইট, জানুয়ারি ২০২৪]
জেনে রাখুন (FAQs)
১. স্টপ ক্লক নিয়ম কি সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে প্রযোজ্য?
না, বর্তমানে এই নিয়ম শুধুমাত্র পুরুষদের ODI ও T20I ম্যাচে প্রযোজ্য। টেস্ট ক্রিকেট বা মহিলাদের ক্রিকেটে এখনও চালু হয়নি। তবে সফল হলে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ফরম্যাটে চালু হতে পারে। ম্যাচ শুরুর আগে ম্যাচ রেফারি দলগুলোকে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন।
২. নতুন DRS নিয়মে আম্পায়ার্স কল কখন প্রযোজ্য হবে?
শুধুমাত্র ইমপ্যাক্টের মার্জিন (“Impact Margin”) আম্পায়ার্স কলের আওতায় থাকবে। অর্থাৎ, যদি রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাটসম্যানের প্যাডে লেগেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকে (৫০% এর কম), তাহলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বলের ট্র্যাকিং (স্ট্যাম্প স্পর্শ) বা উচ্চতার মার্জিনে আম্পায়ার্স কল প্রযোজ্য নয়।
৩. নন-স্ট্রাইকার রান আউটের আগে কি সতর্ক করা বাধ্যতামূলক?
না, নতুন নিয়মে সতর্ক করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বোলার সরাসরি উইকেট ভেঙে আউট দাবি করতে পারেন যদি নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছাড়েন। তবে ICC খেলার রূঢ়তা এড়াতে “সতর্কতার পরই শুধু আউট” করার পরামর্শ দিয়েছে, যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়।
৪. ফ্রি হিট ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যান কিভাবে আউট হতে পারেন?
ফ্রি হিটে ব্যাটসম্যান শুধুমাত্র তিনটি উপায়ে আউট হতে পারেন: (ক) রান আউট, (খ) হিট উইকেট (ব্যাট দিয়ে নিজের উইকেট ভেঙে ফেলা), অথবা (গ) অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড (ইচ্ছাকৃতভাবে ফিল্ডারদের বাধা দেয়া)। বোল্ড, ক্যাচ, LBW বা স্টাম্পড হলে তিনি আউট হবেন না।
৫. বাংলাদেশে নতুন নিয়ম কবে থেকে কার্যকর হবে?
আইসিসি অনুমোদিত সব নিয়ম ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক ও প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচে কার্যকর হবে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে (BPL) আগামী মৌসুম থেকেই স্টপ ক্লক চালু হতে পারে।
ক্রিকেট খেলার নতুন নিয়ম শুধু কাগজে-কলমে পরিবর্তন নয়, খেলার ভবিষ্যতের দলিল। স্টপ ক্লকের তীব্রতা, DRS-এর নির্ভুলতা আর মানকাডিং-এর বৈধতা এই খেলাকে দিয়েছে অপ্রত্যাশিত গতি আর ন্যায্যতার মাপকাঠি। খেলোয়াড়, আম্পায়ার, কোচ—সবাইকে এখন রপ্ত করতে হবে এই পরিবর্তিত খেলার ভাষা। আপনার প্রিয় খেলার এই রূপান্তরকে বুঝে নিন, বিশ্লেষণ করুন এবং মাঠে গিয়ে বা স্ক্রিনে দেখে উপভোগ করুন এক নতুন যুগের সূচনা। ক্রিকেটের এই নবজন্ম দেখতে আজই প্ল্যান করুন আপনার পরবর্তী স্টেডিয়াম ভিজিট!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।