মোহাম্মদ আল আমিন : পর্তুগীজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ব্যাক্তি জীবনে ফুটবল মাঠে ভেঙ্গেছেন অনেক রেকর্ড। রোনালদো শুধু যে ফুটবল খেলতে ভালোবাসেন এমনও নয়। তার ফুটবল খেলার পাশাপাশি শখের জায়গায় রয়েছে অভিনব কার কালেকশন করা।
ক্রিশ্চিয়ানো বর্তমান ইতালিয়ান ক্লাব য়ুভেন্টাসের হয়ে ফুটবল মাঠে পাড়ি জমান। সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ২০১৮-১৯ মৌসুমে রিয়াল থেকে য়ুভেন্টাসে যোগ দেন। যেখানে প্রতি সপ্তাহে তার বেতন ৫ লাখ ইউরো।
একজন খেলোয়াড় যদি প্রতি সপ্তাহে এমন মোটা অংকের বেতন পেয়ে থাকে তবে সে খেলোয়াড় এমন অর্থ খরচ করতেও নানা পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। যেমন ক্রিশ্চিয়ানো তার অর্থ দিয়ে নিজের একটি শখ পুরণ থাকেন প্রতিনিয়তই।
বর্তমান ইয়ুভেন্টাস এই ফরোয়ার্ড তার আয়ের উৎস থেকে বহুকাল ধরেই পুরন করে আসছে নিজের একটি শখ। আর সেই শখটি হলো, নতুন নতুন অভিনব কার কালেকশন করা। বাজারে যখনই নতুন কোন সুপার কার বের করা হয় ঠিক তখনই ক্রিশ্চিয়ানো সেইখান থেকে কোন না কোন এক সুপার কার কালেকশন করে থাকেন প্রতিনিয়তই।
ক্রিশ্চিয়ানো তার কালেকশনে কি কি দ্রুত এবং অভিনব গাড়ি গুলো রেখেছেন তা জানতে চায় অনেকেই এবং জানার আগ্রহ কম বেশি সবারই রয়েছে। তাই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ক্রিশ্চিয়ানোর কিছু সুপার কারের কালেকশন।
১। বুগাতি কাইরন। বিলাস বহুল এই গাড়িটি ক্রিশ্চিয়ানো কিনেছিলেন ৪.৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৯ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়। ক্রিশ্চিয়ানোর কালেকশনে থাকে সব থেকে দামি গাড়িও এটি। গাড়িটি প্রতি ঘন্টায় ২৬১ কিঃমিঃ পথ যাওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং ২.৫ সেকেন্ডের মধ্যে গাড়িটি ০ থেকে ৬০ কিঃমিঃ গতি বেগ তুলতে পারে খুব সহজেই।
২। ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এলপি ৭০০-৪। যার দাম ৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। দামের দিক থেকে গাড়িটি বুগাতির তুলনায় কম হলেও গতি বেগের দিক থেকে এটি অন্যতম। গাড়িটিতে রয়েছে ৭০০ ঘোড়ার ক্ষমতা। যা ঘন্টায় চলে ৩৫০ কিঃ মিঃ এবং মাত্র ২.৯ সেকেন্ডেই ১০০ কিঃমিঃ গতি তুলতে সক্ষম হয় খুব সহজেই।
৩। বিএমডাব্লিউ এম৬। পর্তুগীজ তারকা এই গাড়িটি কিনেন ২০০৬ সালে। যার দাম ছিলো ১ লাখ ২ হাজার ডলার। বিলাস বহুল এই গাড়িটি দাম বাংলাদেশি টাকা প্রায়, ৮৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
৪। বেন্টলে জিটি স্পিড। এই গাড়িতে রয়েছে ৫৯২টি ঘোড়ার ক্ষমতা। এর সর্বোচ্চ গতি, ঘন্টায় ১৮৯ কিঃমিঃ পথ যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।
৫। দ্য ফেরারিস ৫৯৯ জিটিবি ফিওরানা। যা তিনি কিনেছিলেন ৩ লাখ ১০ হাজার ডলার দিয়ে। তবে অভিনব এই গাড়িটি ক্রিশ্চিয়ানো তার কালেকশনে রাখতে পারেননি বেশিদিন। ২০০৯ সালে গাড়িটি নিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো যখন রাস্তায় ২০৫ গতি বেগে চালাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়তেও বাধ্য হন। এরপর যখন তিনি সুস্থ হন তখন ‘দ্য ফেরারিসকে’ অনলাইনের মাধ্যমে ৪০০০০ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন।
৬। অডি আর৮। জার্মান এই স্পোর্টস কারটি ক্রিশ্চিয়ানো কিনে থাকেন দেড় লাখ ডলার দিয়ে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এর দাম ১ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
৭। রোলস রয়েস ফ্যান্টম। রাজকীয় এই সুপার কার ক্রিশ্চিয়ানো কিনেছিলেন ৪ লাখ ডলার দিয়ে। অর্থাৎ, গাড়িটির দাম ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বিলাস বহুল এই গাড়িতে রয়েছে ৫৬৩টি ঘোড়ার ক্ষমতা।
এইখানেই শেষ নয়। বিগত বছর গুলোতে নতুন সুপার কার যখনই বাজারে আনা হয়েছে তখনই ক্রিশ্চিয়ানো কোন না কোন একটি কার কিনেছেনই।
উপরের ৭টি অভিনব কার ছাড়াও তিনি আরও যে সকল কার তার গ্যারেজে ক্রয় রেখেছেন তা হচ্ছে, মাসেরাতি গ্র্যানক্যাব্রিও, পোর্শে কেয়েন, পোর্শে কেয়েন টার্বো, পোর্শে ৯১১, মার্সিডিজ বেঞ্জ সি২২০ সিডিআই, মার্সিডিজ বেঞ্জ স্পোর্টস কুপ, বেন্টলে কন্টিনেন্টাল, অডি আরএস৬ ও অডি কিউ৭।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।