জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা রহমান বাঁধন। তবে তার আরও একটি পরিচয় হল ২০০৫ সালের এনটিভির তুমুল জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘ক্লোজ আপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’র সেরা ১০ প্রতিযোগীর একজন ছিলেন তিনি। বুয়েটে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন বাধন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে যোগ দানের পূর্বে তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রশাসনে যোগদান করলেও একেবারে ছেড়ে দেননি লেখালেখি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন গান গাওয়া, বই পড়া। গল্প কবিতা উপন্যাস লিখে যাচ্ছেন তিনি। ২০২২ সালের বই মেলায় মোড়ক উন্মোচিত হয় বাঁধনের ‘শেষের কবিতা পরে’ কাব্যগ্রন্থ এবং ‘কমলো মেঘের ওজন’ উপন্যাস।
১৬ বছর পর বাঁধনকে খুঁজে পেয়ে সেই স্মৃতি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন রনক আহসান নামে তার বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন শিক্ষার্থী। রনক লিখেছেন, ”২০০৫ সালে আমি যখন বুয়েটে ফার্স্ট ইয়ারে, তখন তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো ক্লোজ আপ ওয়ান। দেশে এর মাধ্যমেই মূলত শুরু হয় দর্শকদের এসএমএস ভোটিং। ‘জাজিং’ এ অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়ে জনতাও বাঁধ ভাঙা ঢেউ এর মত ঝাপিয়ে পড়েছিলো এসএমএস ভোটিংয়ে। নোলকের কান্না দর্শকের হৃদয় ছুয়েছিলো। ফাইনাল রাউন্ডে বিচারকদের মার্কিং এ নোলক পিছিয়ে পড়লেও প্রায় কোটিখানেক দর্শক ভোট দিয়ে নোলক কে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলো। রাজিব প্রথম রানার আপ, বিউটি সেকেন্ড রানারআপ।
এই ক্লোজ আপ ওয়ানেই সেরা দশে উঠেছিলেন বুয়েটের ‘০১ ব্যাচের বাঁধন আপু। বাঁধন আপু কে আমি ১০ টা, আমার আম্মু ১০ টা এসএমএস ভোট দিয়েছিলাম সেই আমলে ৪৬ টাকা খরচ করে। শুনতে অবাক লাগতে পারে, আপুর এই গানটা আমি কম হলেও ১০ হাজার বার শুনেছি! এমনকি, আমার মতে শাহনাজ রহমতুল্লাহ, সাবিনা ইয়াসমিন, কনকচাঁপার তুলনায় এই গানটা বাঁধন আপুর কণ্ঠেই বেশি মানিয়েছে।
যাহোক, ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ ফেসবুক গ্রুপে উপরের লেখাটি পোস্ট করার পর খুঁজে পেলাম বাঁধন আপুকে, ১৬ বছর পর। আমার মতো এমন ভক্ত পেয়ে আপুও কিছুটা অবাক! তিনি এখন সরকারি কর্মকর্তা, মৌলভীবাজারের ইউএনও। আশা করি, তারকা ও ভক্তের একদিন দেখা হবে, কথা হবে!!”
উল্লেখ্য, শিল্পী বাঁধনের জন্ম নাটোর জেলায়। বাবা ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)। বাঁধন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্রী। স্টার মার্ক পেয়ে ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি এবং সমান নম্বর পেয়ে ২০০১ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করে ৩২তম বিএসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হন প্রফেশনাল ক্যাডারের সড়ক ও জনপদ বিভাগে। কিন্তু বাবার ইচ্ছে পূরণে ৩৩তম বিএসিএসেএও অংশ নেন। এডমিনে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রথম পোস্টিং চট্টগ্রাম কালেক্টোরেটে সহকারী কমিশনার পদে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।