মনুষ্যবিহীন ড্রোন বা এরিয়াল ভেহিকেল 30 বছর ধরে যুদ্ধ পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ড্রোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইরান এবং চীনের মতো অনেক দেশ ড্রোন ব্যবহার করে থাকে। বড় আকারের ড্রোন অবশ্যই দরকারি তবে কখনো ছোট আকারের ড্রোন বেশ কাজে দেয়।
ছোট ড্রোন লুকিয়ে রাখা যায় সহজে। রাডার ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়। বেশি ওজন বহন করতে হয় না। রানওয়ে নিয়ে দুশ্চিন্ত নয়। বড় ড্রোন হলে রানওয়ের প্রয়োজন হয়। নরওয়ের একটি কোম্পানি ব্ল্যাক হর্নেট নামে একটি ড্রোন তৈরি করেছে।
এটি সাইজে অনেক ছোট এবং ওজন মাত্র ১৬ গ্রাম। ড্রোনটি ৪ ইঞ্চির কম লম্বা। সেনাদের চারপাশে কি ঘটছে তা দেখতে সহায়তা করে এটি। এটি অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিপদজনক মিশনের সময় সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় এটি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়ার মত দেশ এর ড্রোন ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্পাই ড্রোন হিসাবে নরওয়ের কোম্পানিটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ব্ল্যাক হর্নেট হালকা এবং এটি বহন করার সহজ।
ব্যক্তিগত নজরদারির ক্ষেত্রে ড্রোনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কিন্তু বড় আকারের ড্রোন দিয়ে এটি করতে গেলে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। এটি আকারে এতই ছোট যে, একজন সেনাকর্মী তার হাত থেকে এটি চালু করতে পারে।
এটির সামনে তিনটি ক্যামেরা লুকানো আছে। এটি লাইভ ভিডিও করতে সক্ষম। এটি মাইন সনাক্ত করতে সক্ষম। এটি নিজে থেকে উড়তে পারে। এটি ১০০০ মিটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি প্রতি সেকেন্ডে ১০ মিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে সক্ষম। এই ডিভাইসের দাম ১ লাখ ৯৫ হাজার মার্কিন ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।