ক্ষেতজুড়ে লাল-হলুদ ফুলকপি, দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন মোশারফ
জুমবাংলা ডেস্ক: নেত্রকোণার কৃষক মোশারফ হোসেন। তিনি এ বছর তার ২০ শতক জমিতে চাষ করেছেন হলুদ, বেগুনি, লাল ও সাদা রঙের ফুলকপি। এই ফুলকপি বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন মোশারফ।
জেলার বারহাট্টা উপজেলার মনাষ গ্রামের কৃষক মোশারফের ক্ষেতের বাহারি রঙের এসব ফুলকপি খেতে খুবই সুস্বাদু। দেখতেও আকর্ষণীয়। তাই প্রতিদিনই স্থানীয় লোকজন তার ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষক মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রকার শাক সবজির আবাদ করে আসছেন। এবার রঙিন ফুলকপির চাষে সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। তিনি এই সবজি বিক্রি করে ৪ লক্ষাধিক টাকা লাভ করবেন বলে আশাবাদী। এ বছর তিনি তার ৪০ শতক জমিতে কয়েক জাতের সবজির চাষ করেছেন। এরমধ্যে ২০ শতক জমিতে চাষ করেছেন রঙিন ফুলকপি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
কৃষক মোশারফের চাষাবাদ দেখে স্থানীয় অনেকেই রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপি বীজগুলো সংগ্রহ করেছিলাম। তারপর আমার ২০ শতক জমিতে হলুদ, বেগুনি, লাল ও সাদা রঙের ফুলকপির চাষ করি। বর্তমানে ফুলকপিগুলো বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে এবং প্রতিটি কপি ৭০-৮০ টাকা করে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, রঙিন ফুলকপির বীজ ও চাষাবাদে আমার লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। রঙিন ফুলকপির চাহিদা থাকায় প্রতিটি কপি ক্ষেতেই ৭০-৮০ করে বিক্রি করছি। আশা করছি, এগুলো থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকার মতো বিক্রি করতে পারব।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, রঙিন ফুলকপি পুষ্টিকর, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ও ওষধি গুণে ভরপুর একটি সবজি। বিশেষ করে এতে এন্টি ক্যানসারের উপাদান রয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা থাকায় আবাদেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর বারহাট্টায় ছোট পরিসরে রঙিন ফুলকপির চাষ হলেও এ বছর বিভিন্ন কৃষক ১৫০ শতক জমিতে বাহারি রঙের ফুলকপির আবাদ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।