জুমবাংলা ডেস্ক: জন্মদাত্রী মায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর কয়েকঘন্টার মাঝেই থানা হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো বাবার। এতে লালমনিরহাটে স্কুল পড়ুয়া দুই শিশু সন্তানের জীবনে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। মা-বাবা ছাড়া তাদের চারপাশে যখন শুধুই অন্ধকার, এসব শুনে শিশু দুটির দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
৬ জানুয়ারির হাতিবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা গ্রামের বাড়ি থেকে প্রথমে শ্রাবত্রী রাণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় রাখে। সেখানেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। একইদিনে মা-বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়ে যায় দুই কন্যা শিশু পিংকি ও পিয়াসী। গণমাধ্যমে শিশুদের এই অবস্থা জানার পর তাদের দেখভাল ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে এ ঘোষণা দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য-সচিব জাহিদ হাসান।
এবিষয়ে পিতা-মাতা হারা কন্যা সন্তান পিংকি বলেন, পৃথিবীতে আমাদের আর কেউ নেই। আমাদের বাবা-মা প্রয়াত হবার পর আমরা অসহায় হয়ে গিয়েছিলাম। চারিদিকে অন্ধকার দেখছিলাম। এমন সময় জিএম কাদের সাহেব আমাদের পাশে দেবতা হিসেবে দাড়িয়েছেন। উনি আমাদের পাশে দাড়ানোর ফলে পিতা ও মাতা হারানোর শোক কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
হাতিবান্ধা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরিফ শাহরিয়ার (সিজার) এ প্রসঙ্গে বলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব শুক্রবার প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পক্ষে এতিম দুই মেয়ের লেখা-পড়ার মাসিক খরচসহ আনুষাঙ্গিক খরচ তাদের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি তাদের শীতবস্ত্রও দেয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে জিএম কাদের ভার্চুয়ালি শরিক হন। প্রতিমাসে জেলা জাতীয় পার্টির মাধ্যমে এই খরচ তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, মাননীয় চেয়ারম্যানের এই মহানুভবতার জন্য হাতিবান্ধা উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। জিএম কাদের সাহেব যেনো এ ধরণের মানবতার কাজ অব্যাহত রাখতে রাখতে পারেন সেজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানাই।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, কয়েকঘন্টার ব্যবধানে শিশু দুটি মা-বাবা দুইজনকেই হারিয়েছে। বিষয়টি হৃদয়বিদারক। এই দ্ররিদ্র এতিম দুটি সন্তানের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, এরকম অনেক অসহায় এতিম রয়েছে। মন চায় ওদের সবার পাশে দাঁড়াতে। আমারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সমাজের বিত্তশালীরা যদি এসব অসহায় এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে তাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।