খতনা অনুষ্ঠানের টাকায় তাদের মুখে ফুটল হাসি

জুমবাংলা ডেস্ক : সুন্নতে খতনা করে অনুষ্ঠান না করে সেই টাকা দিয়ে দুই গরিব ব্যক্তিকে দুটি রিকশা উপহার দিয়েছেন যুবক।

সন্তানের সুন্নতে খতনা ঘটা করে অনুষ্ঠান না করে সেই টাকা দিয়ে দুই গরিব ব্যক্তিকে দুটি রিকশা উপহার দিয়েছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রিকশা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ঝালকাঠির সন্তান ছবির হোসেনের মহানুভবতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। রিকশা উপহার পেয়ে খুশি অসহায় সাহেব আলী ও বাচ্চু হাওলাদার। এখন থেকে তাদের আর না খেয়ে থাকতে হবে না। রিকশা চালিয়ে উপার্জন করে সংসার চালাতে পারবেন। এ জন্য ছবির হোসেনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।

ছবির হোসেন জানান, তার একমাত্র ছেলে সাদ আয়াত রাফসানের কিছুদিন আগে সুন্নতে খতনা করানো হয়। এ উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু ঘটা করে সেই অনুষ্ঠান না করে ওই টাকা দিয়ে দুই অসহায় ব্যক্তিকে রিকশা কিনে উপহার দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, সাহেব আলী ঝালকাঠি শহরের নতুন কলাবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আর বাচ্চু হাওলাদার থাকেন লঞ্চঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। তারা দু’জনেই অত্যন্ত গরিব।

এক সময় শহরে ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এখন নিজের রিকশা নেই, তাই উপার্জনও করতে পারছে না। মানুষের কাছে হাত পেতে যা পেতেন, তা দিয়েই চলতো সংসার। এ খবর শুনে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন ছবির হোসেন।

সাহেব আলী ও বাচ্চু হাওলাদার জানান, আমরা গরিব মানুষ। আগে আমরা রিকশা চালিয়ে দু’মুঠো ভাত খেতাম। বিভিন্ন কারণে আমাদের এখন আর রিকশা নেই। কাজকর্ম ও মানুষের দান অনুদানে মানবেতর জীবনযাপন করতাম। ছবির ভাই আমাদের এখন রিকশা দেওয়ায় সেই কষ্ট আর করতে হবে না।

ঝালকাঠি জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাহারুল মাঝি জানান, রিকশা শ্রমিক সাহেব আলী ও বাচ্চু হাওলাদারের কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ না থাকায় দীর্ঘদিন অনেক কষ্টে ছিলেন।

এখন তারা রিকশা পেয়েছেন। কাজ করেই খেতে পারবেন। সংসারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটবে।