জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের অর্থনীতিতে খাদ্য ও কৃষি খাতের অবদানকে ১০ বছরের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলারে নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশে খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আনার পাশাপাশি তৈরি করা হবে ২০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান। দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক এ তথ্য জানিয়েছেন। দ্য ন্যাশনাল।
দুবাইয়ের ফিউচার ফুড ফোরামে দেয়া বিবৃতিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য আমরা খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। এক্ষেত্রে আরব আমিরাত বেশ ভালো করছে। ২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে প্রথম স্থানে ছিল আরব আমিরাত। তার পরও অনিশ্চিত সময়ের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তায় প্রতিবন্ধকতা থেকে গেছে। সেসব প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করেই আমরা মোকাবেলা করব।’
তিনি খাদ্য ও কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য সাতটি প্রধান স্তম্ভকে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণভাবে সৃজনশীলতার দিকে জোর দেয়া, আরব আমিরাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সরবরাহ চেইন প্রতিষ্ঠা করা এবং কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পুঁজি দেয়া। কেবল এর মধ্য দিয়েই ইউএই কৃষিপ্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
মন্ত্রীর বিবেচিত প্রথম স্তম্ভ হলো আগামী প্রজন্মের কৃষি খাতকে সম্প্রসারণ করতে স্থানীয়ভাবে কাজ করা। তার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তর থেকেই বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তা শ্রেণী বের হয়ে আসবে। দ্বিতীয় ধাপে আরব আমিরাতের কৃষিবিষয়ক নীতি প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তার মাধ্যমে উৎপাদনের মান বাড়বে ও আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত হবে।
কৃষির বিকাশে তৃতীয় পদক্ষেপ আরব আমিরাতকে অগ্রাধিকার দেয়া। বিশেষ করে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা। সে অনুপাতে সরবরাহ চেইন তৈরি ও তহবিল সংগ্রহ করা। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য, তহবিল তৈরির মাধ্যমে মানুষকে এগিয়ে আসতে, শিল্পটিকে সম্প্রসারণ করতে এবং আমাদের কৌশল বাস্তবায়নে এগিয়ে যাব। এছাড়া গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে গ্রহণ করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত তার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে চায়। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিতে অন্যান্য খাতের অবদান বাড়াতে চায়। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল ২০৫১ অনুসারে দেশটি বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকের প্রথমে উঠে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০২২ সালে দেশটির খাদ্যপণ্যের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশটিতে কৃষক, স্থানীয় উৎপাদনকারী, প্রযুক্তি নির্মাতা ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীরা পৃষ্ঠপোষকতা পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।