ড. তোফাজ্জল ইসলাম: একটি আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকার দেশে ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
ন্যানোটেকনোলজি একটি ফ্রন্টিয়ার সায়েন্স, যা ইলেকট্রনিকস, কৃষি, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, পরিবেশসহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োগে বিপ্লব সৃষ্টি করছে। এটি চতুর্থ শিল্প ও কৃষি বিপ্লবের এক বিশাল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি প্রতিষ্ঠার প্রকল্প অনুমোদন নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। সেজন্য একনেক সভার সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ২০১২ সালে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন ন্যানোটেকনোলজির উদ্বোধনকালে তার প্রদত্ত ভাষণে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করলেন।
দেশে ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম প্রথম কবে শুরু হয়েছিল, তা আমার জানা নেই। তবে এটি নিশ্চিত যে, এ দেশে অনেকেই বিচ্ছিন্নভাবে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে উল্লেখযোগ্য মৌলিক গবেষণা অনেক আগে থেকেই করে আসছিলেন। সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়, ২০১২ সালে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (সেপ্টেম্বর ২১-২৩) প্রথম আন্তর্জাতিক কর্মশালায়। ঐতিহাসিক ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা এবং তা ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে একটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দূরদর্শী পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি তখনই প্রথম দেশে ন্যানোটেকনোলজিতে অগ্রসরমাণ গবেষণার জন্য একটি স্বতন্ত্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘ন্যানোটেকনোলজির গবেষণা দেশে ইলেকট্রনিকস, কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জ্বালানিসহ নানা ক্ষেত্রে শিল্পের প্রসার ঘটাবে, যা দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় উন্নয়নে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।’
দেশে প্রথম জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ তে ন্যানোটেকনোলজিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাতীয় কৃষিনীতির অনুচ্ছেদ ৩-এর ৩.৩-এ বর্ণিত গবেষণার পরিধি ও ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ন্যানোটেকনোলজিকে গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কৃষি উন্নয়নে ন্যানোপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলো হলো: ১. ফসলের রোগ নির্ণয়, জাতভিত্তিক পুষ্টি চাহিদা নির্ণয়, পুষ্টি আহরণক্ষমতা বৃদ্ধি; ২. ন্যানো সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমির গুণাগুণ পর্যবেক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ এবং ৩. কৃষিতে ও কৃষি পরিবেশে ভারী ধাতুর উপস্থিতি শনাক্তকরণ এবং শোধনসহ ন্যানো প্রযুক্তির সার, বালাইনাশক উদ্ভাবন ও ব্যবহারের মাধ্যমে উপকরণ দক্ষতা অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ।
কৃষি গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমানে ব্যবহৃত রাসায়নিক সারের ৫০ শতাংশের বেশি ও বালাইনাশকের ৯৮ শতাংশের বেশি নানাভাবে নন-টার্গেটেড জীব ও প্রতিবেশে অপচয় হয়। বর্তমানে এক কেজি চাল উৎপাদনে হাজার লিটার পানি ব্যবহার হয়। অস্বাভাবিক হারে অদক্ষ কৃষি উপকরণের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে শুধু যে ফসল উৎপাদন খরচ ভয়ানকভাবে বাড়ছে তা নয়, সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও অব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ এবং প্রতিবেশকে ক্রমে বিপন্ন করে তুলছে। এসব মোকাবিলায় কৃষিনীতিতে উপকরণের ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যে যুক্তিসংগত কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ন্যানোপ্রযুক্তির গবেষণা ও প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় কৃষিনীতিতে ন্যানোটেকনোলজিকে অন্তর্ভুক্ত করায় দেশে কৃষি শিক্ষা এবং গবেষণায় ন্যানোটেকনোলজি অগ্রাধিকার পায়।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ন্যানোবায়োটেকনোলজি পড়ানো হয়। বশেমুরকৃবির ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (আইবিজিই) বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে প্রথম দিনের আলোতে রিচার্জেবল টাইটানিয়াম-ডাই-অক্সাইড ন্যানোক্যাটালিস্ট আবিষ্কার করেছে, যা গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে কার্যকর। বুয়েট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় ন্যানোপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুলভাবে ব্যবহৃত সেলুলোজ দ্বারা তৈরি কাগজে জীবাণুরোধী গুণাবলি আরোপ করার কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ উদ্ভাবন আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির বিখ্যাত জার্নাল ‘এসিএস সাসটেইনেবল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ প্রকাশিত হয়েছে। উদ্ভাবিত ন্যানো সিলভার কণা সংযোজিত কাগজ, তাই কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ নানা রকম ব্যাকটেরিয়া ও ক্ষতিকারক ছত্রাক দমনে এটি খুবই কার্যকর হতে পারে। উদ্ভাবিত জীবাণুরোধী এ কাগজ মূল্যবান পণ্য, ওষুধ, খাদ্য ও কৃষিজ পচনশীল উৎপাদন যেমন মাছ, ফলমূল এবং সবজি পরিবহন ও সংরক্ষণে ব্যবহার করা যাবে। অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান ও জাপানি বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা অতি ছিদ্রবহুল ধাতব ন্যানোক্যাটালাইটিক কনভার্টার উদ্ভাবন করেছেন, যা যানবাহনের জ্বালানি দহনের পর নির্গত বায়ুদূষক পরিশোধনে খুবই কার্যকর। এ গবেষণার ফল ২০১৭ সালে বিশ্বখ্যাত ‘নেচার কমিউনিকেশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের পাটের আঁশ ও পশুর হাড় থেকে অতি ছিদ্রবহুল ও উচ্চ পৃষ্ঠতলসম্পন্ন মেসো এবং ন্যানোকার্বন তৈরি করা হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি ন্যানো ও মেসোকার্বন অতি মূল্যবান শিল্পসামগ্রী হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সম্ভব। বাংলাদেশে পাট ও পশুর হাড় পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। সুতরাং উদ্ভাবিত ন্যানোকার্বন কণা প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করা সম্ভব। পাশাপাশি আমাদের বিজ্ঞানীরা পাট থেকে অত্যন্ত মূল্যবান সুগার মনোমার তৈরির কৌশল আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। ন্যানোপ্রযুক্তিবিষয়ক আমাদের গবেষণার ফল বিশ্বখ্যাত নেচারস সায়েন্টিফিক রিপোর্টস, মাইক্রোপোরাস ও মেসোপোরাস ম্যাটেরিয়ালস, ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড ফিজিকস, সাসটেইনেবল এনার্জি ফুয়েলস, জার্নাল অব ভিজুয়ালাইজড এক্সপেরিমেন্টস, জার্নাল অব ন্যানোসায়েন্স অ্যান্ড ন্যানোটেকনোলজি, জার্নাল অব ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি, ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রি, ম্যাটেরিয়ালস লেটার ইত্যাদি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ক্লাইমেট-স্মার্ট এবং প্রিসিশন (নিখুঁত) কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে লাভজনক ও টেকসই কৃষি অর্জনে সীমিত ভূমি থেকে ভবিষ্যৎ খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ন্যানোটেকনোলজির প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশে প্রায় সব পাবলিক ও অনেকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে অধ্যয়ন এবং গবেষণা চলছে। জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে প্রায়োগিক গবেষণা চলছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এবং জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমিতে কৃষিতে ন্যানোটেকনোলজিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর গবেষণা প্রসারে একটি ন্যানোটেকনোলজি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে।
ন্যানোটেকনোলজি কৃষি ও শিল্পোন্নয়নে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। দেশে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য দক্ষ বিজ্ঞানী ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা দেশীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছেন। আমার জানা মতে, বিদেশে অনেক বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি ন্যানোটেকনোলজিস্ট রয়েছেন।
বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে একটি ন্যানোটেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে প্রতিষ্ঠানটি একটি ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি’ হওয়া সমীচীন মনে করি, যেখানে কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জ্বালানি ও অন্যান্য বিষয়ে শিল্পের বিকাশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি গবেষণা করবে এবং দেশের চাহিদামাফিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। জাতীয়ভাবে ন্যানোটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং শিল্পোন্নয়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ন্যানোটেকনোলজি নীতি’ প্রণয়ন জরুরি।
আমি মনে করি, দেশে ন্যানোটেক গবেষণার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে- ন্যানো কণা বৈশিষ্ট্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব। ন্যানো পদার্থের বৈশিষ্ট্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যেমন স্ক্যানিং টানেলিং মাইক্রোস্কোপ, ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ, অ্যাটমিক ফোর্স-মাইক্রোস্কোপ ইত্যাদি কেন্দ্রীয়ভাবে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি’-এ প্রতিষ্ঠা করলে দেশে ন্যানোপ্রযুক্তি গবেষণায় গতি সঞ্চার হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ন্যানোটেকনোলজি সম্পর্কিত পণ্যের বাজার ২ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পৃথিবীতে ন্যানোটেক গবেষণায় সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশও ন্যানোটেক গবেষণায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকায় ২০০৮ সালে স্লিনটেক (শ্রীলংকা ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি) নামে ন্যানোটেকনোলজিবিষয়ক উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটি ২০১৭ সালে স্লিনটেক একাডেমি নামে বেসরকারি বিনিয়োগে ন্যানোপ্রযুক্তিবিষয়ক উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছে। এরই মধ্যে স্লিনটেক ন্যানোপদার্থভিত্তিক উচ্চদক্ষতা ও ধীরগতিতে পুষ্টি সরবরাহকারী ন্যানো ফার্টিলাইজার উদ্ভাবন করেছে এবং তা ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করে ন্যানোটেক গবেষণার ব্যবসায়িক সাফল্য প্রমাণ করেছে। যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি ও শিল্পোন্নয়নে ন্যানোপ্রযুক্তি ব্যবহারের রোল মডেল হতে পারে।
একনেকে গৃহীত নতুন প্রকল্পটিতে কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে শুরুটা যেন দেশের সব ন্যানোটেকনোলজি বিশেষজ্ঞের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা হয় এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক : ড. তোফাজ্জল ইসলাম, অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; সহসভাপতি, বাংলাদেশ ন্যানো সোসাইটি এবং ফেলো, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।