জুমবাংলা ডেস্ক: দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সংস্কার নেই কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিন্নাত আলী চৌধুরী সড়কটি। নুইন্যা-মুইন্যা সেতু থেকে সিরাদিয়া ফটোবাপের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের সড়কটি দেড় যুগ ধরে সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সড়ক জুড়ে শত শত খানাখন্দক। দুই বছর ধরে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাঁচ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জিন্নাত আলী চৌধুরী সড়কে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ২০-৩০ মিটার পরপর সড়কের ইটগুলো সরে গেছে। দক্ষিণ মেহেরনামা নাগুর দোকান থেকে সিরাদিয়া স্লুইচ গেইট পর্যন্ত প্রায় ১৬ চেইন সড়কের ইট একেবারে নেই। দুই বছর আগে এ স্থানে ইট উঠে গিয়ে কাঁচা সড়কে পরিনত হয়েছে। গাড়ি চলাচল দূরের কথা দুই চাকার যানবাহন চলাচলেও অনুপযোগী সড়কটি। হেঁটেই এ সড়ক পার হতে হয় স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল, সালাহ উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন বলেন, জিন্নাত আলী চৌধুরী সড়কটি দিয়ে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, বদরখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করত। বর্তমানে দক্ষিণ মেহেরনামা, পশ্চিম মেহেরনামা, গোলপাড়া, সিরাদিয়া, বিলহাসুরা, নতুনপাড়াসহ প্রায় সাত গ্রামের ১০ হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে। দুইটি কলেজসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর একমাত্র ভরসা এ সড়ক। সম্প্রতি বন্যায় পানির নীচে তলিয়ে গেছে সড়কটি। ফলে সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কালু মাঝি বলেন, অনেক আগে এ রাস্তায় ইট বসানো হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। বর্ষায় সড়কের বেশিরভাগ অংশ পানিতে ডুবে থাকে। এখন এ পথ দিয়ে হেঁটে চলতেও অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিক্ষার্থী মোকাদ্দেস, তামজিদ বলেন, প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ে যেতে আমাদের কষ্টের সীমা নেই। বর্ষায় বই খাতা ভিজে অনেকবার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম. বাহাদুর শাহ বলেন, এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বড় রাস্তা। প্রায় আড়াই কিলোমিটার। আসলে এত বড় রাস্তা করা পরিষদের সক্ষমতা নেই। তবে রাস্তাটি সংস্কারের আওতায় আনা দরকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়ার প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আসলে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার না হওয়াটা দুঃখজনক। খোঁজ খবর নেওয়া হবে। তারপর এ সড়ক সংস্কারের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হবে।’
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার: চারপাশ জলাবদ্ধতা, দর্শনার্থীদের চরম ভোগান্তি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।