খারসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার অংশ হতে পারে। আবার এটি রাশিয়ার যুদ্ধ কৌশলের অংশ হতে পারে। তবে এটা সত্যি যে এ ঘটনা সবার মনে বিস্ময় তৈরি করেছে।
পশ্চিমা গণমাধ্যম বলছে যে আমেরিকা ও রাশিয়ার সমঝোতার ফলেই থারসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের কারো পক্ষেই পরাজয় মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। উভয় পক্ষের জন্যই উইন-উইন পরিস্থিতি প্রয়োজন।
তবে অনেক বিশ্লেষক এ ধারণার সঙ্গে একমত নয়। কেননা খারসন থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার জন্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। সমঝোতার মাধ্যমে পুুতিন এ ধরনের অপমান মেনে নিবে না।
খারসনের বাকি অংশ ইউক্রেনের সেনারা সম্ভবত দখল করে নিয়ে নিবে। ইউক্রেনে বিজয় করা অন্যান্য অঞ্চল ধরে রাখা রাশিয়ার জন্য এখন কঠিন হবে বলে মনে করা হয়। এর ফলাফল হতে পারে ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল এবং ক্রিমিয়ায় পানি ও রসদ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আসন্ন শীতে সম্ভবত রাশিয়া থেকে ইউক্রেন ভালো অবস্থানে থাকবে। ইউক্রেনের সেনাদের হাতে থাকবে পশ্চিমাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র। সে তুলনায় রুশ সেনাবাহিনী কিছুটা ক্লান্ত ও দুর্বল অবস্থায় থাকতে পারে।
খারসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের ঘটনা সেনাদের উজ্জীবিত করেছে। খারসনের কৃষিকাজের জন্য তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রুশরা এভাবে পিছু হটতে থাকলে আরো অনেক অঞ্চল তাদের হারাতে হবে। এখন জেলেনিস্কি খুব দ্রুত আরো অঞ্চল উদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
রাশিয়া প্রথমে কিয়েভ দখল করতে ফেরত গিয়েছে। এরপর খারকিভ দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়ে রাশিয়া। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় রাশিয়া। এখন খারসন থেকেও সেনা প্রত্যাহার করতে হলো।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, রাশিয়া যেনো পারমাণবিক বোমা হামলা না করে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চায় আমেরিকা। এজন্য রাশিয়ার সাথে গোপন সমঝোতায় এসেছে আমেরিকা। তবে এক মাস আগেই রাশিয়া গণভোট আয়োজন করে খারসনকে নিজেদের করে নিলো। এখন এ অঞ্চল তাদের ছেড়ে চলে যাওয়া সত্যিই রহস্যজনক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।