জুমবাংলা ডেস্ক : উচ্চ আদালত থেকে খালাস পাওয়ার পরও এক ব্যক্তিকে ৯ মাস কারাবন্দি রাখার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সবোর্চ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে রাজন মিঞা নামের ওই আসামির জামিন শুনানিতে আজ বুধবার আপিল বিভাগ এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, খালাস পাওয়ার পরও তাকে কারাগারে রাখা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটা ভুলের কারণে একটা মানুষ জেলে থাকবে, এটা কি করে হয়। এ সময় ভুল স্বীকার করে পূর্ণাঙ্গ আপিলে কিছুটা সময় দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে এরপর সর্বোচ্চ আদালত বলেন, এক মুহূর্ত তাকে আর কারাগারে রাখা যাবে না।
রাজন মিঞা নামে এই আসামি রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমের অফিস সহকারী শামসুল হায়দার হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। তবে পরে তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। খালাসের পরও চলতি বছর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় আপিল বিভাগে প্রশ্ন ওঠে খালাসের পর আসামিকে ধরা যায় কি না।
২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে এজিবি কলোনিতে শামসুল হায়দারকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ভুয়া বিল তৈরি করে ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা জেনে যাওয়ায় আসামিরা তাকে খুন করে মর্মে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
২০০৬ সালের ১৯ মার্চ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল তৈরি করে অফিসে জমা দেন। পরদিন ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সার একটি চেক হারুন এন্টারপ্রাইজের নামে প্রদান করেন। ওই টাকা আসামিরা তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন।
ঘটনাটি জেনে যাওয়ায় অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দায়কে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবুল কালাম আজাদ মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাবুল, আব্দুল লতিফ, হাফিজুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ওয়াসিম ও কাজল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রাজন মিয়া ও শামসুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে নিয়মানুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা আপিল করেন। এ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।