আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামালা খাশোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ৬ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় অভিযোগ গঠন করেছে তুর্কি প্রসিকিউশন।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দু’জনের যাবজ্জীবন বাকি চারজনের ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী দু’জন কনস্যুলেটের সদস্য। যারা জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িত হিট টিমে অংশ নিয়েছিল। বাকি চারজন খাশোগিকে হত্যার পর আলামত ধ্বংসে নিয়োজিত ছিল। তাদের কেউই এখন তুরস্কে নেই।
ওয়াশিংটন পোস্টের কন্ট্রিবিউটর এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন খাশোগি। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর তাকে আর দেখা যায়নি। তুর্কি বাগদত্তা হাতিজে চেঙ্গিসকে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগপত্র নিতে কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তিনি।
৫৯ বছর বয়সী খাশোগির মরদেহ টুকরো টুকরো করার পর কনস্যুলেট ভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। যা এখনো পাওয়া যায়নি।
জুলাইতে ইস্তাম্বুলের আদালত সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সাবেক দু’জন সহকারীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে তাদের অনুপস্থিতিতে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার কাজ শুরু করে।
তুর্কি প্রসিকিউশনের দাবি, সৌদি ডেপুটি ইন্টেলিজেন্স চিফ আহমেদ আল আসসারি এবং রয়েল কোর্টের মিডিয়া অ্যাডভাইজার সৌদ আল কাহতানির নেতৃত্বে এবং নির্দেশনায় সৌদি হিট টিম খাশোগিকে হত্যা করে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেছেন, সৌদি সরকারেরে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে সরাসরি তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের নাম কখনো উচ্চারণ করেননি। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স হত্যায় নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে সৌদি আরবের শাসক হিসেবে হত্যার সম্পূর্ণ দায় তার নিজের বলে স্বীকার করেন।
গেলো বছর রুদ্ধদ্বার বিচারে ৫ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেন সৌদির আদালত। কিন্তু সেপ্টেম্বরে সে সাজা কমিয়ে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সৌদি আদালতের এ রায়কে ন্যায়বিচারের সাথে অভিনয় বলে তিরস্কার করেছে জাতিসংঘ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।