জুমবাংলা ডেস্ক : বড় ভাই-ভাবি ও ভাইপো-ভাইজিকে খুন করার উদ্দেশ্যে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর কথা স্বীকার করেছে সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত চার খুনের প্রধান অভিযুক্ত রায়হানুল ইসলাম। পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতে তাদের অচেতন করে চাপাতি দিয়ে খুন করেছে রায়হানুল। তবে শিশু মারিয়া তাকে চিনবে না বলে হত্যা করেনি। গতকাল বিকালে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, বেকার রায়হানুল বাড়িতে বসে খাওয়ায় বড় ভাবি তাকে বকাবকি করে। রাতে টিভি দেখার সময় অকারণে বিদ্যুৎ বিল উঠছে বলে বড় ভাই শাহিনুরও বকা দেয়। তখন সে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর তাদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে ঘরে থাকা চাপাতি নিয়ে তোয়ালে পরে গাছ বেয়ে ছাদের ওপর দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে প্রথমে বড় ভাই শাহিনুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। তার হাতের শিরা কেটে দেয়, এরপর বড় ভাবি ছাবিনাকে কুপিয়ে হত্যা করে। দুটি হত্যাকাণ্ডের শব্দে ভাইপো জিহান ও ভাইজি তাছনিম জেগে গেলে তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে সে বাড়ির পাশের পুকুরে চাপাতি ফেলে দিয়ে গোসল করে ঘুমাতে যায়।
রায়হানুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল বুধবার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি জব্দ করা হয়েছে। রায়হানুলের ঘর থেকে তোয়ালেও জব্দ করা হয়েছে। বিকালে রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রেসব্রিফিংয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।