বিনোদন ডেস্ক: ইলন মাস্কের ‘স্পেসএক্স’ সংস্থার ‘বিগ ফ্যালকন রকেট’ (বিএফআর)-এর প্রথম ক্রেতা জাপানের ধনকুবের ইয়ুসাকু মেইজাওয়া। ২০২৩ সালে বিএফআর রকেটে চেপে তার চাঁদে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তার সফরসঙ্গী হবেন ৮ জন। গত শুক্রবার তাঁদের নাম ঘোষণা করেন ইউসাকু। এই তালিকায় রয়েছেন ভারতের এক নাগরিক। দেব জোশী নামের ওই ভারতীয় পেশায় অভিনেতা।
অনেকেই তাঁকে ‘বাল বীর’ হিসেবে চেনেন। ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ দেব। কিন্তু ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
খুব শিগগিরই চাঁদে পাড়ি দিতে যাওয়া দেবের সঙ্গে এই সফরে থাকবেন আমেরিকার ডিজে এবং প্রযোজক স্টিভ আওকি, আমেরিকার ইউটিউবার টিম ডড, চেজ রিপাবলিকের শিল্পী ইয়েমি এডি, আয়ারল্যান্ডের চিত্রগ্রাহক রিহানন অ্যাডাম, ব্রিটেনের এক চিত্রগ্রাহক করিম ইলিয়া, চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত আমেরিকার বাসিন্দা ব্রেন্ডান হল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ব্যান্ডের সদস্য টপ। দেব ৮ সদস্যের মধ্যে কনিষ্ঠতম এবং একমাত্র ভারতীয় নাগরিক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেবের পুরো নাম দেব দুশ্যন্তকুমার জোশী। ২০০০ সালে ২৮ নভেম্বর গুজরাতের আমদাবাদে জন্ম। শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল দেবের। যখন ৩ বছর বয়স, তখন থেকে মঞ্চে অভিনয় করেছেন। নাটক, বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুজরাতি শোয়েও অভিনয় করেছেন তিনি।
২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে হিন্দি ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয় করার সুযোগ পান দেব। ৯ বছর বয়সে ‘মহিমা শনি দেব কি’ ধারাবাহিকে ‘শুক্র’ চরিত্রের শৈশব পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। একই সময় ‘হমারি দেবরানি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
অভিনেতার জীবন অন্য দিকে মোড় নেয় ২০১২ সালে। ‘বাল বীর’ নামের এক ফ্যান্টাসি ঘরানার হিন্দি ধারবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। শিশু অভিনেতা হিসেবে তাঁর অভিনয় দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। চার বছর ধরে এই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হয়েছে।
২০১৮ সালে ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা চন্দ্রশেখর আজাদের জীবনীর উপর ভিত্তি করে ‘চন্দ্রশেখর’ নামের একটি ধারাবাহিক শুরু হয়। ছোট পর্দায় চন্দ্রশেখরের কৈশোর জীবন ফুটিয়ে তুলেছিলেন দেব। শুধু ছোট পর্দাতেই নয়, জাভেদ আলি এবং তর্শের মতো নামকরা গায়কের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন দেব।
বড় পর্দায় কাজ করার অভিজ্ঞতাও দেবের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। মোট ২০টি গুজরাতি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিভিন্ন শর্ট ফিল্মেও কাজ করেছেন। নামী বিজ্ঞাপনী সংস্থার প্রচার মুখ হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে দেবকে।
শিল্প এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দেব যে ধরনের কাজ করেছেন তা লক্ষ্য করে ২০১৯ সালে তাঁকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বাল শক্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।
দেবের ফলোয়ার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ইতোমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে অভিনেতার ফলোয়ার সংখ্যা ১২ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।
অতিমারি চলাকালীন ২০২০ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করেন দেব। ভারতের দুঃস্থ নাগরিকদের সাহায্য করতে চান বলে এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
আমদাবাদের একটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেছেন দেব। ইউনাইটেড নেশনস্ ইনস্টিটিউট অব ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চে আন্তর্জাতিক বিষয় এবং প্রযুক্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।