জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদের দিন বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজে রোগীর চাপ কম থাকলেও আজ সকাল থেকেই চাপ বাড়ছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় আসছে রোগী। সকাল সাতটা থেকে দুপুর বারোটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তির জন্য এসেছেন। যারা সকলেই করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হতে চান। এদের অনেকেরই রয়েছে শ্বাসকষ্ট। বেশকজন রোগীর স্বজনকে আইসিইউ’র জন্য আহাজারি করতে দেখা গেছে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাইরে সরজমিনে দেখা গেছে, দুদিনেই বদলে গেছে দৃশ্যপট। যেখানে ঈদের দিন ও তার পরদিন কোন কোলাহল ছিল না, ভিড় ছিল না। সেখানে আজ অ্যাম্বুলেন্সের লাইন পড়ে গেছে।
মিরা রানী পাল খুলনার খালিশপুর থেকে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ডাক্তার বলছে, এখানে তার কোন চিকিৎসা নেই। চারদিন খাওয়া বন্ধ মিরা রানীর। ছেলে রতন পাল প্রতিবেদককে বলেন, সাতদিন হাসপাতালে থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার বাসায় নিয়ে যেতে বলেছে।
মোখলেসুর রহমান। বয়স ৭৫। খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তারা এখানে নিয়ে এসেছেন আইসিইউ’র জন্য। সকাল থেকে দুজন রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে খুমেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার ৫টি হাসপাতালে করোনায় ৭ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।