খুলনায় পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে খুচরায় ৭৫–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি বাজারে মানভেদে দাম ৬২–৬৮ টাকা, ফলে খুচরা ও পাইকারি দামের ব্যবধান ১২–১৩ টাকা। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, মজুদ সিন্ডিকেট ও অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে, যদিও বিক্রেতারা বলছেন বৃষ্টি ও মৌসুম শেষের কারণে সরবরাহ কম।
ক্রেতাদের ক্ষোভ ও সমস্যার কথা
বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। ক্রেতারা বলছেন, সংসারের বাজেট সীমিত থাকায় অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, এলসির মাধ্যমে আমদানি না হওয়ায় দাম কমছে না, অনেকেই গুদামে পেঁয়াজ মজুদ রেখে অল্প পরিমাণে বাজারে ছাড়ছেন।
বিক্রেতাদের ব্যাখ্যা
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মৌসুম শেষের দিকে থাকায় এবং বর্ষার কারণে সরবরাহ কমে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক বিক্রেতা বলছেন, পচন ও ওজন কমে যাওয়ার কারণে কিছুটা দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিক। কেউ কেউ আশা করছেন, ১৫ তারিখে এলসি অনুমোদন পেলে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০–১৫ টাকা কমে যাবে।
সরবরাহ পরিস্থিতি
পাইকারি বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজ মানভেদে ৬০–৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা মনে করছেন, বর্ষায় পেঁয়াজ পঁচনশীল হওয়ায় সরবরাহ কমে দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুলনায় মাঠে পেঁয়াজ চাষ হয় না, ফরিদপুর, মেহেরপুর ও নাটোর থেকে পেঁয়াজ আসে।
খুলনায় পেঁয়াজের দাম অল্প সময়ে দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। সরবরাহ, মৌসুম ও আবহাওয়া—সব মিলিয়ে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এলসি অনুমোদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক হলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেনে রাখুন-
প্রশ্ন ১: খুলনায় পেঁয়াজের দাম কত বেড়েছে?
দুই সপ্তাহে খুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ২৫ টাকা বেড়েছে, বর্তমানে খুচরায় ৭৫–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রশ্ন ২: পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ কী?
বিক্রেতারা বলছেন মৌসুম শেষ, বৃষ্টি ও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। ক্রেতারা মনে করছেন, মজুদ সিন্ডিকেটও একটি কারণ।
প্রশ্ন ৩: পাইকারি ও খুচরায় পেঁয়াজের দামের পার্থক্য কত?
পাইকারিতে ৬২–৬৮ টাকা কেজি, আর খুচরায় ৭৫–৮০ টাকা কেজি। ব্যবধান প্রায় ১২–১৩ টাকা।
প্রশ্ন ৪: পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা আছে কি?
১৫ তারিখে এলসি অনুমোদন হলে সরবরাহ বাড়বে, ফলে দাম কেজিতে ১০–১৫ টাকা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন ৫: খুলনায় পেঁয়াজ কোথা থেকে আসে?
খুলনায় মূলত ফরিদপুর, মেহেরপুর ও নাটোর থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।