জুমবাংলা ডেস্ক: খুলনার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে শুক্রবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সেইসাথে দুপুর থেকে বেড়েছে বাতাসের গতি ও নদীর জোয়ারের পানি। খবর ইউএনবি’র।
উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার লোকজনকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অনেকে আবার বাতাস শুরুর পর থেকে স্বেচ্ছায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন।
সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য অনেক পুরুষ ঘরে থেকে গেলেও বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা আশ্রয়কেন্দ্র চলে আসছেন। কোনো কোনো এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে না চাইলে তাদের জোর করে কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রথমে দাকোপ উপজেলার খোনা খাটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খোনা কে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে নিয়ে আসা শুরু করে প্রশাসন। পরে কয়রা ও পাইকগাছার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এলাকাবাসীকে নেয়া শুরু হয়।
কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, দুপুরের দিক থেকে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন।
‘স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে মিলিয়ে প্রায় ১২-১৩টি কেন্দ্রে ১৪ আনা মানুষেরও জায়গা হয় না। পর্যাপ্ত জায়গা, পানি, টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই আসতে চান না’, যোগ করেন তিনি।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। যারা আসতে চাচ্ছেন না তাদের পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন বুঝিয়ে আনছে।
তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার বেশ কিছু দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ফণির অগ্রভাগের প্রভাবে জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একইসাথে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় খুলনা অতিক্রম না করা পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে থাকবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণির কবল থেকে দেশবাসী যেন রক্ষা পায় সে জন্য খুলনার মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদের মুসল্লিরা এ দোয়া করেন।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel