জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনায় অতিরিক্ত ম’দপানে মৃ’তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও একজন নারী। এছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।
খুলনায় ম’দপানে একসঙ্গে এত মানুষের মৃ’ত্যু কখনো হয়নি। বিষাক্ত ট্যাবলেট ও পানি মেশানো ম’দ খেয়েই তারা মারা গেছেন বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা মহানগরী ও রূপসা উপজেলায় আটজনের মৃ’ত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, নগরীর গ্লাক্সোর মোড় এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ শীলের ছেলে সুজন শীল (২৬), সোনাডাঙ্গার গল্লামারী এলাকার নরেন্দ্র দাসের ছেলে প্রসেনজিৎ দাস (২৯), তার আপন ভাই তাপস (৩৫), সদর থানার ভৈরব টাওয়ারের বাসিন্দা মানিক বিশ্বাসের ছেলে রাজু বিশ্বাস (২৫), রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সত্যরঞ্জন দাসের ছেলে পরিমল দাস (২৫), রাজাপুর গ্রামের নির্মল দাসের ছেলে দীপ্ত দাস (২২), সমীর বিশ্বাসের স্ত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাস (২৫) এবং নগরীর রায়পাড়া ক্রস রোডের বাসিন্দা নির্মল শীলের ছেলে অমিত শীল (২২)।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন খুলনা মেডিকেলে এবং একজন নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত ম’দপানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইমরান ও হৃদয় নামের দুই যুবক।
খুলনা মেডিকেলের চিকিৎসক খালেদ মাহমুদ অতিরিক্ত ম’দপানে তাদের মৃ’ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, খুলনা মহানগরীতে দেশি ম’দের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান চারটি, ফুলতলা ও চালনায় একটি করে রয়েছে। এছাড়া বিদেশি ম’দের দোকান (অপসপ) রয়েছে একটি। ক্লাব (বার) রয়েছে দুটি। এর মধ্যে একটি খুলনা ক্লাব, অপরটি হোটেল ক্যাসল সালামে অবস্থিত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, দেশি ম’দ খেয়ে মৃ’ত্যুর ঘটনা তেমন ঘটে না। ভারতের এবং চোলাই ম’দ খেয়ে এ ধরনের মৃ’ত্যু হতে পারে। এবিষয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।